
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি;
ঝিনাইদহে জমি বিক্রয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পবহাটি গ্রামের বাবুর্চি আঃ রহমানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, ঝিনাইদহের পবহাটি (পুকুর পাড়া) গ্রামের ওমর আলীর ছেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র যশোর অফিসের বাবুর্চি আঃ রহমান ২০০৮ সালে একই গ্রামের মৃত নজির উদ্দিন মোল্লার ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্পোরাল মোঃ শরিফুল ইসলামের কাছে অভিনব কায়দায় ৫শতক জমি বিক্রি করে এবং বায়না বাবদ টাকা গ্রহন করে। এরপর আর জমি রেজিষ্ট্রি না করে তালবাহানা শুরুু করে।
উপায়ান্তর না দেখে শরিফুল ইসলাম গত ১০-১২- ২০১২ইং ঝিনাইদহ মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করে যার আপত্তি নং ৫১/১২ এরপর ২ পক্ষের শুনানী শেষে মেয়র একটি লিখিত সালিশনামায় আঃ রহমান ৫ শতক জমি রেজিষ্ট্রি অথবা জমি বাবদ ৩ লাখ ,৪০ হাজার টাকা শরিফুল ইসলামকে দিবে মর্মে আদেশ দেন।কিন্তু আদ্যাবদি আঃ রহমান এই টাকা শরিফুল ইসলামকে পরিশোধ করে নাই ও জমি রেজিষ্ট্রি করেও দেয়নি।। শরিফুল ইসলাম ৬ ই জুন ইং তারিখে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে।
শরিফুল ইসলাম জানান ,আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্পোরাল ১৯৯৭ সাল খেকে ২০০১ সাল পর্য়ন্ত প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিঃ ও দীর্ঘদিন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গানম্যান এনসিওর দায়িত্ব পালন করেছি, আমার চাকুরী জীবনের শেষ স য় টুকু দিয়ে জমি ক্রয় করেছিলাম কিন্তু আঃ রহমান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। দীর্ঘ ১৩ বছর মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সৃবিচার পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে আঃ রহমান বলেন আমি জমির টাকা নিলেও সবকিছু আমার জামাই জাহাঙ্গীর জানে।
এদিকে আঃ রহমানের খুটির জোর নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বর্তমান প্রভাব খাটিয়ে আঃ রহমান সেই জমি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। একজন সরকারী চাকুরী করে কিভাবে এমন প্রতারণা করতে পারলো তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহল্।ে আবার শরিফুল ইসলামকে জমির মূল্যবাবদ টাকাও ফেরৎ দিচ্ছে না।শরিফুল ইসলামের কাছে প্রমান স্বরুপ জমির বায়না বাবদ স্ট্যাম্প, ঝিনাইদহের মেয়র সাহিদুল করিম মিন্টুর দেওয়া সালিশ নামার রায় থাকা স্বত্তেও আঃ রহমানের শক্তির কাছে পরাজিত হচ্ছে।