
কক্সবাজারের ঈদগাঁহ-ঈদগড় সড়কে ডাকাতের দা’র কোপে নিহত সংগীত শিল্পী জনি দে রাজ হত্যাকান্ড ঘটনায় এক প্রত্যক্ষদর্শির কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
সিএনজিতে পূর্ব থেকে বসে থাকা বোরকা নেকাব পরা ৩ যাত্রী এরা কারা! এরা মহিলা না পুরুষ জানা যায়নি। ঘটনাস্হল থেকে এরা উধাও হয়ে গেল কেন? হত্যাকান্ডের পর চালক ও বোরকা পরা ৩ রহস্যময় যাত্রীর সন্ধান এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।এলাকাবাসীর দাবী বোরকা নেকাব পরা ৩ যাত্রী সনাক্ত করা হউক।
এই বোরকা নেকাব পরা ৩ জন সংগীত শিল্পী জনি কে হত্যা করেছে বলে ধারণা।ঈদগড় পুর্ব রাজঘাট গ্রামের মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াছের পুত্র মোঃ ফেরদাউস (৫৫) হচ্ছেন সেই প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি।তিনি জানান আমি ঘটনার দিন চট্রগ্রাম থেকে বাস যোগে ঈদগাঁহ স্টেশনে এসে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের সময় নেমে পড়ি। তখন সংগীত শিল্পী জনি ও তার বাবা তপন দে কে ঈদগাঁহ স্টেশনের পুর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে আসতে দেখি এবং তাদের সাথে আমি কথা বলে জানতে পারি তারা পটিয়া থেকে ফাংশান করে এসেছেন।
তিনি জানান ঐ সময় আমি দেখতে পাই লাইনে দাড়ানো সিএনজির ভেতর বোরকা নেকাব পরা ৩ যাত্রী বসা। তারা পুরুষ না মহিলা বোঝা যাচ্ছিল না। তখন জনি কে দাড়িয়ে রেখে তার পিতা তপন পার্শ্বের দোকানে এক খিলি পান কিনতে যাই। তপন পান নিয়ে ফিরে আসার আগেই সি এন জি (কক্সবাজার -থ-১১) চালক এক পাশ্বে জনি ও অপর পাশ্বে ঈদগাঁহ দক্ষিন মাইজপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র মোঃ কালুকে বসিয়ে ঈদগড়ের দিকে যাত্রা শুরু করে দেয়।তখন পিতা তপন দে গাড়ী পেছনে পেছনে দৌড়ে বাবা নেমে পড় এক সাথে যাব বলে চিৎকার দেয়।কিন্ত চালক গাড়ী না থামিয়ে দ্রুত ষ্টেশন ত্যাগ করে।জনির পিতা তপন দে জাানান, আমরা এক সাথে ঈদগড় যাওয়ার কথা।
আমি পাশ্বের দোকান থেকে পান আনতে আনতে জনি কি কারনে আমাকে ছাড়া গাড়ীতে করে একা চলে গেল আমি জানি না।তিনি জানান আমার সন্তানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।আমার সন্তানের পকেটে নগদ ৬ হাজার টাকা ২টি এন্ড্রয়েট মোবাইল সেট যার মুল্য ১০+১০ হাজার টাকা, গলায় স্বর্ণের চেইন ও হাতে স্বর্ণের আংটি ছিল ডাকাত কিছুই নিল না শুধু মাত্র ৪ টি গানের ডাইরী নিয়ে গেল।সি এন জি চালককে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ করে বোরকা নেকাব পরা সেই রহস্যময় ৩ যাত্রীর পরিচয় উদ্ধার করতে পারলে সংগীত শিল্পী জনি দে রাজের হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।