
ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা। ইসলামের আগমনের আগে সামাজিকভাবে নারীদের কোনো মর্যাদাই ছিল না। নারীদের প্রতি করা হতো অমানবিক আচরণ। প্রাক ইসলামি যুগের দিকে তাকালেই তা অনুধাবন করা যায় যে, নারীর মর্যাদা প্রদানে ইসলামের অবদান কতবেশি। মহিলা নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমানে নারীদের পিছিয়ে রেখে দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ও পথেঘাটে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় এদেশের মেধাবী ও দক্ষ নারীদের সেবা থেকে দেশ বি ত হচ্ছে।
নারীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সম্বলিত কর্মক্ষেত্র, পরিবহন ব্যবস্থা, শৌচাগারসহ নারীবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের জন্য মহিলা নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহবান জানান। ১১ নভেম্বর বাদে যোহর হতে অক্সিজেন কুলগাঁও রহিমিয়া হাশেমীয়া দরবার শরীফে আল্লামা বজলুর রহিম হাশেমী (রহ.) স্মৃতি সংসদের ব্যবস্থাপনায় ২ দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে সমাপনী দিবস মহিলা মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। নূরে মারওয়া হাশেমীর স ালনায় মূখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক গবেষক হাজ্জা কুসুম আকতার ভান্ডারী।
কুরআন তেলাওয়াত করেন আফরিন জাহান। নাতে রাসুল (দঃ) পরিবেশন করেন রুবি আকতার, জাফরিন আকতার, রোজী আকতার ও কহিনূর আকতার। উপস্তিত ছিলেন বেবি আকতার,শহর বানু, মানু আকতার, জাহনারা বেগম, আমেনা বেগম,বানু বেগম, ফোজিয়া বেগম। মূখ্য আলোচক হাজ্জা কুসুম আকতার ভান্ডারী বলেন, এ ফিতনার যামানায় সরল প্রাণ নারী জাতির পারিবারিক ও সামাজিক সম্মান রক্ষায় খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা (রা.) এর আদর্শ ব্যতীত ভিন্ন কোন পন্থা নেই।
তাই হযরত ফাতেমা (রা.) এর আদর্শে আদর্শিত হয়ে মহিলা মাহফিলের বিকল্প নেই। সকলের উচিত মহিলা মাহফিলের আয়োজন করে পরিবার এবং সমাজের নারী জাতিকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন হাজ্জা কুসুম আকতার ভান্ডারী। ২ দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল সফল করার জন্য দরবারের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিক্বত খলিফায়ে খানেকাহে মুনঈমীয়া আল্লামা কাযী মুহাম্মদ মোদাচ্ছের হাশেমী (মু.জি.আ) সকলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।