
ঝিনাইদহে আবারও শুরু হয়েছে জুয়ার আসর! ঝিনাইদহে আবারো জুয়া খেলার রমরমা আসর শুরু হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ঝিনাইদহ জেলাকে জুয়া মুক্ত করে চলে যাওয়ার পর জুয়াড়িরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উছেছে। তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে গোপন আস্তানা গড়ে তুলে নতুন করে এই মরণ খেলা শুরু করেছে। সম্প্রতি র্যাব ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুল অংকের টাকাসহ জুয়াড়িদের আটকের খবর প্রমান করে জেলায় জুয়াড়িদের দাপট আগের মতো শুরু হয়েছে।
আসন্ন দুর্গাপূজা সামনে করে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানেও এই আসর বসতে পারে এমন আশংকা করছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গোয়েন্দা নজরদারীর অভিাবে হরিণাকুন্ডুর বিভিন্ন এলাকার পান বরজ ও বাজারে নিয়মিত জুয়ার আসর বসছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাত করে এই খেলার আসর চলছে বলে কথিত আছে। পশ্চিমা লে সাধুহাটি, সাগান্না, হলিধানি, কুমড়াবাড়িয়া, গান্না ও মহারাজপুর এলাকায় জুয়াড়িদের অভয়ারণ্য হয়েছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জুয়ার বোর্ড বসছে এলাকায়। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গান্না ইউনিয়নের গান্না,
ঝিনাইদহে আবারও শুরু হয়েছে জুয়ার আসর! চন্ডিপুর, পশ্চিম ঝিনাইদহ, পার্শ্ববর্তী ইকড়া (কোটচাঁদপুর উপজেলার), কুমড়াবাড়িয়ার জাড়গ্রাম, ধুপাবিলা, ডেফলবাড়ী এলাকায় নিয়মিত বসছে জুয়ার আসর। এসব জুয়ার আসরে মহেশপুর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ড, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও যশোর থেকে জুয়াড়িরা আসে। ফোরগুটি, ওয়ানটেন, ফ্লাসসহ বিভিন্ন জুয়া খেলা চলে এই আসরে। পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে সেখানে নিজস্ব পাহারাদার নিয়োগ করা থাকে।
তারা লোকজন চলাচলের রাস্তায় জুয়া বোর্ড থেকে অনেক দুরে পাহারা দেয়। পুলিশ বা আইন শৃংখলা রক্ষকারী বাহিনীর গাড়ি দেখলেই সতর্ক করা হয় জুয়াড়ির। গান্না অ লে জুয়া খেলা হয় কিনা জানতে চাইলে চন্ডিপুর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের মধ্যে চায়ের দোকানে তাশ খেলে কিছু মানুষ। কিন্ত তাস খেলার আড়ালে জুয়া খেলা হয় কিনা তা দেখা হয়নি। তবে গ্রামবাসির অভিযোগ গান্না কারিগরি স্কুলের পাশে, গান্না গ্রামের মধ্যে ও পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামে কয়েক দিন পর পর জুয়ার আসর বসে।