
ওমিক্রন শক্তিশালী না দুর্বল বলার সময় এখনো আসেনি করোনা সংক্রমণের সংখ্যার দিক থেকে রেকর্ড ছাড়াল বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে ওমিক্রনই এ সংক্রমণের উর্ধ্বমুখির জন্য দায়ী। তাই তারা মনে করেন করোনার ওমিক্রন ধরন শক্তিশালী না দুর্বল এটি নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও আসেনি।এ কারণে মহামারিকালে একে গুরুত্ব না দেয়া বিপদের কারণ হতে পারে আশঙ্কা করছেন তারা। আর সে কারণেই স্বাস্থ্যবিধি মানায় গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ।
আইসিডিডিআর,বি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত বছরের জানুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের আলফা ধরনের আধিপত্য ছিল। মার্চ মাসে বেটা ধরন শনাক্ত হয়। পরে ২০২১ সালের মে মাস নাগাদ ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। আর জুন মাস নাগাদ আক্রান্তের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয় এই ডেল্টা।বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয় ১০ ডিসেম্বর ২০২১ এ।
সে সময় ৭৭ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচ জনের শরীরে ওমিক্রন পেয়েছিল আইসিডিডিআর, বি। বাকিরা ছিলেন ডেল্টায় আক্রান্ত। কিন্তু জানুয়ারি মাসে সে চিত্র বদলে গেছে। এখন ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনই বেশি শনাক্ত হচ্ছে।এ বছরের জানুয়ারির প্রথম দিনের তুলনায় পরের ২২ দিনে, করোনা শনাক্তের হার ২ শতাংশ বেড়ে ৩১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত ৫ দিনেই নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
তারপরও দেশবাসির মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানায় দেখা যাচ্ছে উদাসীনতা।এ বছরের শুরু থেকেই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ থাকলেও মানুষের মধ্যে রয়েছে সচেতনতার অভাব। তবে ওমিক্রন সংক্রমণে জটিলতা কম মনে করাকেই বিপদের বড় কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেছেন ওমিক্রনে অসুস্থ হবার প্রবণতা কম ভেবে অনেকেই সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা।
এতে বিপদের আশঙ্কা অনক বেশি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন এ মুহূর্তে এটা বলা কঠিন যে দেশের মানুষ বেশি ডেল্টায় না ওমিক্রনে আক্রান্ত।সাত নভেম্বর আফ্রিকায় প্রথম শনাক্তের পর ওমিক্রন সংক্রমণ কতটা জটিলতা তৈরি করবে তা এখনই বলা কঠিন। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকায় ওপর অধিক জোর দিতে গিয়ে বলেছেন এ ভাইরাসের প্রভাব এক মাস না দুই মাস থাকবে, এতে মৃত্যুর ঝুঁকি কতটুকু সবই সাময়িক ধারনা মাত্র।