
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ছোট্ট গ্রাম কুতুবপুর।ভূঞাপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড।কুতুবপুরে বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুরে এখন শোভা পাচ্ছে শীত কালীন সবজির সমারহ। সবজি চাষে বদলে গেছে মাঠের দৃশ্যপট। চিরচেনা সবুজ দৃশ্য যে কোন মানুষের নজর কাড়ছে। কৃষকের পদধূলিতে ছোট চাঁরা বেড়ে উঠেছে। ধরছে ফসল। কৃষকের হাঁসির ঝিলিক প্রস্ফুটিত হচ্ছে মরিচের ডগায়। ধনে পাতার শুভাস ছরিড়ে পড়ছে বাতাসে বাতাসে। নীরবেই আলুর শরীর মোটা তাজা হচ্ছে মাটির নিচে।ফুলকপি ঝিকঝিকিয়ে হাঁসি হাসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভূঞাপুর শহর থেকে ২ কি:মি: বেরুলেই দৃস্টিতে পড়ে কৃষকের স্বপ্ন বোনা ফসলের মাঠ। প্রাণ জুড়িয়ে যায় তাদের আদর যন্তে গড়ে তোলা সবজি ক্ষেত দেখে। সকালে হালকা কুয়াশা ভেত করে আকাশের সূর্য উঠার আগেই কৃষরা হৃদয়ের টানে ছুটে আসেন জমিতে।কপি, টমেটো, কিংবা লাউ, সিম, শরীরের সবটুকু শক্তি আর মনের গভির পোষা ভালবাসার সিক্ত করে তুলে।ক্ষেতে পানি দেওয়া আগাছা পরিস্কার কিটনাশক প্রয়োগ নিরানী সহ সজবি ক্ষেত পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।আধুনিক পদ্ধিতিতে শীত কালিন সবজির চাষাবাদ করায় ভাগ্যর পরিবর্তন গড়ে উঠেছে অনেক কৃষকের। ক্ষেতের সবজির পাশাপাশি অনেকেই বাড়ীর আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন সবজি পল্লী।
এবছর রোগ বালাই কম হওয়ায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় এখানকার কৃষক নতুন স্বপ্নে বিভোর। তারা ক্ষেতেই সবজি বিক্রি করছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই সব সবজি।
জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় নয় হাজার হেক্টর জমিতে শীত কালিন সবজির চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় কৃষকের ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের সবজি। এসবের মধ্যে লাউ, সিম, বরবটি, চালকুমড়া, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, ঝিংগা, পালংশাক, লাল শাক, কমলি শাক, পুইশাক, ডাটা শাক, করলা, ধনিয়া পাতা, ঢেরস, পাটশাক, পটল, খিরা, চিচিংগা, সরিসা শাক, ওল, গাজর, মটরশুটি, মুলাশাক, ফুল কপি, বাধাকপি।
কুতুবপুর সবজি চাষি সবুর উদ্দিন মন্ডল জানান, শীত কালীন সবজি চাষে খরচ কম লাগে। এতে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এ বছর বেগুন ও লাউ,পালনশাক,এবং ফুলকপি এবং ধনেপাতা চাষ করেছি।
একই গ্রামের আলআমিন মন্ডল জানান,অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাই অন্য ফসল ছেড়ে সবজির চাষ করছি। এবছর এক বিগা জমিতে ভিবিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছি। এতে খরচ হয়েছে চার হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বাজারে বিক্রি ভালো হয়েছে।আমি পড়ালিখার পাশাপাসি পরিবারকে টুক টাক আবাদের কাজে সাহায্য করি।
চাঁন মিঞা জানায়,বাজারে সবজির দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তবে সার, কীটনাশক, বীজ,ও পরিবহন খরচ বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান এ বছর শীতকালিন সবজি নয় হাজার হেক্টর লক্ষ্য ছিল। উৎপাদন হয়েছে আট হাজার হেক্টর এখনো পর্যন্ত অনেকে চারা রোপন করিতেছে। আশা করা যায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে। শীত কালিন সবজি চাষে কৃষকদের পারমর্শ ও সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে কৃষি বিভাগ আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার ফল পাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক।যাতে করে সবুজ বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়।