মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাঠজুড়ে সোনালি ধান।ধানের সোঁদা গন্ধে ভরে উঠছে আবহমান গ্রামীণ জনপদ। কেউ কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। কেউ কেউ ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ির উঠোনে। এরপর কৃষকের আঙিনায় ধানের ছড়াছড়ি, গোলাভরা ধান এবং ধান থেকে চাল। দম ফেলার সময় নেই কৃষকদের। মহাব্যস্ততায় দিন কাটছে কৃষকদের। মাঠে মাঠে যেন শুরু হয়েছে ধান কাটা উৎসব।ধান কাটা নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এবার ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, পাজাম, আবছায়া ও স্বর্ণা ধান চাষ হয়েছে বেশি। ব্রি-৪৯ জাতের ধান অন্য জাতের ধানের জীবনকালের চেয়ে আগাম ধান পেকে যাওয়ায় ভালো ফলন হচ্ছে।
ভূঞাপুর উপজেলা ঘুরে জানাযায়, ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব ধান ঘরে চলে আসবে। এবার প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন প্রতি মণ নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক।আনন্দ যে আর বাঁধ মানেনা।
ভূঞাপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই মন্ডল বলেন, এবার ৫ একর জমিতে ধান চাষ করছি। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। মাঠে ধান কাটা উৎসব শুরু হয়েছে। ধানের ধামও ভালো।আমরা যারা কৃষক আছি আল্লাহ্ র কাছে শুক্রিয়া যানাই।
পাঁছতেরিল্যা গ্রামের ধান ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, বাজারে সবেমাত্র ধান উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে ব্রি-৪৯ ও ব্রি-৫১ ৭শ, পাজাম সাড়ে ৭শ থেকে ৮শ, আবছায়া সাড়ে ৭শ ও স্বর্ণা ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা ঘুরে আরো দেখাযায়,ইতোমধ্যেই ধান কাটা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে । কৃষকরা আগামী দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পারবে।