
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলি। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিন্তু যারা শুধু সুযোগ-সুবিধার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েছে, তারা সবাই ভুয়া। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের সর্বোচ্চ আসনে রাখতে চাই।
কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে তাঁতীবাজার মোড়ে অবস্থান নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই অবরোধ বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চলে। এ সময় গুলিস্তান থেকে বাবুবাজার, সদরঘাট ও যাত্রাবাড়ীগামী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলে অংশ নেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে মেহেরুন্নেসা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বাংলাদেশ তথা বিশ্বে নারীরা পিছিয়ে নেই। সব স্থানে নারীরা এগিয়ে। আমাদের ৬০ শতাংশ কোটার প্রয়োজন নেই। নারী কোটাসহ অন্যান্য সব বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
জবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসীম উদদীন বলেন, ‘আন্দোলনে যত দিন দাবি আদায় না হবে, আমরা ঘরে ফিরব না। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে।’