
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের মানুষের৷ স্বপ্নের বিমানবন্দর স্বপ্ন পূরণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লালমনিরহাটে হচ্ছে বিমানবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই শুরু করেছে এরই অংশ হিসেবে ১৩/৩ /১৯.তারিখে বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট বিমানবন্দর পরিদর্শন করেতে যান বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।পরিদর্শন কালে আরও ছিলেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন , বিমানবন্দরটি নিয়ে আমাদের বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এখানে বিমান মেরামত ও কারখানা তৈরির কথা
ভাবছে সরকার। এসব বিষয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বিমান বাহিনী প্রধান পরিদর্শনে এসেছিলেন।স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটে আন্তর্জাতিকমানের একটি বিমানবন্দরটি অবহেলা আর অযত্ন পড়ে রয়েছে ৬০ বছরেরেও বেশি সময় ধরে। ১৯৩১ সালে লালমনিরহাটের এক হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে বিমানবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে বৃটিশ সরকারের আমলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এ বিমানবন্দরটিই ছিল মিত্র বাহিনীর ১মাত্র ভরসা স্থল। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই নিস্তব্ধতায় ডুবে যেতে থাকে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি। তবে ১৯৫৮ সালে পুনরায় বিমান সার্ভিস চালু হলেও। কিন্তু সে সময় আশানুরুপ যাত্রী না পাওয়ায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে এদিকে বিমান চলাচলের। ফলে ৪ কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক
(বিমান রাখার জায়গা), হ্যাংগার (বিমান গ্যারেজ) ও ট্যাক্সিওয়ে এগুলো সবই এখন পরিত্যক্ত। অব্যবহৃত হওয়ায় এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরে ১৯৮৩ সালে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ এখানে কৃষি প্রকল্প গ্রহণ করে, যার কার্যক্রম এখনো চলছে। ১৯৮৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে এই বিমানবন্দরটি তবে এখন আর সেটা কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত হবে না স্থানীয়রা বলেন দীর্ঘদিন পরে লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু হওয়ায় মানুষের অনেক উপকার হবে পুনরায় বিমানবন্দরের কাজ শুরু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা