
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে বেড়াতে আসছিল মায়ের সাথে এক কিশোরী বাংলাদেশে এসে ধর্ষণের শিকার হন কিশোরী মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পাকিস্তানি কিশোরী। ধর্ষিতার নাম হুমেরা বাবু (১৭)। পাকিস্তানের করাচীর সরকারি এক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ছিলেন সেই কিশোরী তার পিতার নাম হুমায়ুন কবীর, মাতার নাম নীলুফার বেগম। ঠিকানা সুপার হাইওয়েজ রোড়, নিউ করাচী, পাকিস্তান। টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ও মেয়েটি অপহৃত অবস্থায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছেন। জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার
মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ধর্ষিতা হুমেরাকে উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইলের পুলিশ। ধর্ষণকারী আল আমিনকে এখনও আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় গতকাল ১৭ এপ্রিল (বুধবার) তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার মা নীলুফার বেগম।গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক পঁচিশ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে থিতু হন। সেখানে পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগমকে সাদী করে গামের্ন্টস ব্যবসা শুরু করেন। পাঁচ
মাস আগে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ছয় মাসের ভিসায় কন্যা হুমেরাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। এ সময় তারা ওঠেন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। সেখানে ওঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের পুত্র আল আমিন কিশোরী হুমেরাকে উত্যক্ত করতে থাকে। বেশ কয়েকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা ও হয়।এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে বখাটে আল
আমীন ক্ষুব্ধ হয়। গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় হুমেরাকে কাকার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বলে জানিয়েছেন হুমায়রার মা এমতাবস্থায় গতকাল ১৭ এপ্রিল (বুধবার) আল আমিনসহ তিনজনকে আসামি করে নীলুফার বেগম আত্মার ধর্ষিতার মা গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গোপালপুর থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দী
অবস্থায় ধর্ষিতা হুমেরাকে উদ্ধার করেন। গোপালপুর থানা পুলিশ ধর্ষিতার মা নীলুফার বলেন হুমেরা নিউ করাচীর সরকারি সাদিকাটুল হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি ও তার মেয়ে বাংলা ঠিকমতো বলতে পারেন না। বাবার দেশ শখ করে দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরী কন্যা। নির্যাতনে হুমায়রা ভেঙ্গে পড়েছেন বলে জানান তিনি। এর
কঠিন শাস্তি দাবি করেন। এলাকাবাসী তদন্তকারী কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ধর্ষিতা বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার আদালতে ধর্ষিতার ২২ ধারায় জবানবন্দী নেওয়া যায়নি। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে দোভাষী পেলে ধর্ষিতার জবানবন্দি নিতে সুবিধা হতো আদালতের