
ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতকে যাত্রীবাহী লেগুনা খালে পড়ে দূর্ঘটনায় বাবার পর মাকে হারিয়ে অভিভাবহীন অনাথ তিন শিশুর পাশে ছুটে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির। আজ শনিবার সকাল ১১টায় অনাথ শিশুদের সান্তনা দিতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বাউভোগলী গ্রামে যান তিনি।সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এর পক্ষ থেকে শোকাহত পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। অনাথ শিশু সামছিয়া বেগম (৫), ফেরদৌসী বেগম (৩) ও ২১ মাস বয়সের শিশু পুত্র আমিনুর রহমানের খোঁজ খবর
নেন। দুধের শিশু আমিনুর রহমানকে কোলে তুলে নিয়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি মর্মান্তিক লেগুনা দূর্ঘটনায় নিহত মখজ্জুল আলী ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগমের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ও তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে আর্থীক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। শিশুদের সুন্দর ভবিষৎতের কথা আলোকপাত করে তিনি আরো বলেন, তাদের আত্মীয় স্বজনরা চাইলে সরকারী ব্যাবস্থাপনায় সিলেট বাগবাড়ীস্থ চাইল্ড কেয়ারে শিশুদের ভর্তীর ব্যাবস্থা করা হবে।এ সময় গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর
রহমান আখলাক, উপজেলা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবীব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ছাতক শাখার সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ছাতক শাখার প্রতিষ্টাতা আহবায়ক শামীম আহমদ তালুদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল ছাতক উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ফজল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ছাতক শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, ইউপি সদস্য সুরেতাজ আলী, আনর আলী, অনাথ শিশুদের চাচা গেদা মিয়া, মমশর আলী, মুরবিব রুশন আলী, আব্দুল লতিফ, সত্তার মিয়া, আবুল খয়ের, হাফিজুর রহমান, শামীম আহমদ, শিশুদের স্বজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকেল ৪ টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বুড়াগাঁও-
আলাপুর গ্রামের মধ্যখানে সদরপুর এলাকায় যাত্রীবাহী লেগুনা নং(সিলেট-ছ-১১-২০৭৩) বেপরোয়া গতিতে খালে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই লেগুনার যাত্রী, নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২জন আহত হন। ওই মর্মান্তিক সড়ক দূঘটনায় ওই দিন রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মখজ্জুল আলী (৫১) মৃত্যু হয়। এর পর গত বুধবার বিকেল ৩টায় সিলেট ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত. মখজ্জুল আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম মারা যান। ওই সড়ক দূর্ঘটনায় তাদের তিন সন্তান সামছিয়া বেগম (৫), ফেরদৌসী বেগম (৩) ও ২১ মাস বয়সের শিশু পুত্র আমিনুর রহমান গুরুতর আহত হয়।