হাসান আহমদ, ছাতক (সুনামগঞ্জ):
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহা-সড়কে ছয় দিনের ব্যবধানে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় মহিলাসহ ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ ও ১৩ জানুয়ারি দু’দিনে পৃথক দূর্ঘটনায় একজন পথচারি মহিলাসহ দু’কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন আরো দু’কলেজ ছাত্র। সড়কের জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে শুভন নন্দি ও আকাশ ঘোষ, পার্থ ও রোদ্র ৪বন্ধ মিলে দু’মোটর সাইকেল যোগে বিশ্বনাথের ভুরকি এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের সাহেবনগর এলাকায় পৌঁছামাত্র ভাঙ্গা রাস্তার গর্তে পড়লে অপর মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় মোটর সাইকেলের চালকসহ দু’আরোহী ছিটকে পড়লে বিপরিত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনা (নং-সিলেট-ছ-১১-২০৮০) তাদের আরেক দফা ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দু’জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভন নন্দি (১৯)কে মৃত ঘোষণা করেন। সে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জস্থ জোনাকী ফটোস্টুডিওর মালিক স্থানীয় দিঘলী একানিধা গ্রামের মৃত শুভাষ নন্দির পুত্র ও সিলেট সরকারি কলেজের অধ্যায়নরত ছাত্র। এঘটনায় মোটর সাইকেলের চালক, একই গ্রামের আনন্দ ঘোষের পুত্র কলেজ ছাত্র আকাশ ঘোষ (১৯)
আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।এদিকে গত ৮জানুয়ারি সন্ধ্যায় একই সড়কের ছাতকের বড়কাপন পয়েন্ট এলাকায় মোটর সাইকেল আরোহীকে পিছন থেকে পিকআপ (নং-সিলেট মেট্রো-ন-১১-০৫৯৭) ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটর সাইকেল আরোহী হাসান আহমদ সুমন (২৩) ও পথচারি গুলু বিবি (৫৫) নামের দু’জন। কলেজ ছাত্র সুমন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের সলফ গ্রামের এখলাছুর রহমানের পুত্র। রাস্তায় পাশে দাড়িয়ে থাকা পথচারি গুলু বিবি একই উপজেলার পাগলা ইউনিয়নের রাইপুর গ্রামের ফজর আলীর স্ত্রী। এঘটনায় সুমনের সাথে থাকা তার জনৈক এক বন্ধু আহত হয়। পৃথক দূর্ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করে সড়কের জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আমির উদ্দিন বলেন, হাসানের।