ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে দিনে-দুপুরে তালাবদ্ধ ঘরে দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের মৃত আবদুল হকের বাড়িতে। সংঘবদ্ধ চোরেরা দরজা ভেঙ্গে বসত ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণার-রুপা, নগদ টাকা, ১টি বাইসাইকেল, মূল্যবান কাপড় ছোপড়, দলীলপত্রসহ প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় জাহিদপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাতেই ৮জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত আবদুল হকের স্ত্রী মনতেহা বেগম মুনি।
জানা যায়, বসতঘর তালাবদ্ধ করে ৩ এপ্রিল ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উপজেলার ˆছলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামে পিত্রালয়ে বেড়াতে যান মনতেহা বেগম মুনি। তিনি স্থানীয় এনজিও সংস্থা ব্রাকের ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কর্মরত আসছেন। ঘর তালাবদ্ধ থাকার সুযোগে এবং মামলা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তালাবদ্ধ বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দুই ভরি ওজনের স্বর্ণার, ৩ভরি ওজনের রোপার নুদুর, নগদ ২০হাজার টাকা, একটি বাইসাইকেল, দলীলপত্র, মুল্যবান কাপড়-ছোপড়, তিনটি মোবাইল সীম ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় দুই লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরা। এসময় চোরেরা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় জাহিদপুর ফাঁড়ির পুলিশের এসআই বিল্লালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাতেই মনতেহা বেগম মুনি বাদি হয়ে ছাতক থানায় মুক্তারপুর গ্রামের লিয়াকত আলী ও তার স্ত্রী মজমা বেগম, কালারাজা, আবদুল হাই, হিরামতি, দিলারা বেগম, আনোয়ার মিয়া, ইয়ান আলীর নাম উল্লেখ করে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক ও তাদের লোকজন বাদিসহ তার সন্তানদের উপর অন্যায় ভাবে অত্যাচার-নির্যাতনসহ একের পর এক আক্রমন করে আসছে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। লিয়াকত আলী ও কালারাজার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিনś মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধিন আছে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।