হাসান আহমদ, ছাতক::
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিরামহীনভাবে চলছে সুনামগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢহল। দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক নানান কর্মকাণ্ডেও ব্যস্ত রেখেছে নিজেদের।আজ শুক্রবার দিবাগত রাত সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন ও সহকারী পুলিশ সুপার জগন্নাথপুর সার্কেল মাহমুদুল হাসান চৌধুরী এর নেতৃত্বে করোনা প্রতিরোধে হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষে এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখার স্বার্থে ছাতক এবং দক্ষিন সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় যৌথভাবে যানবাহন চেকিং সহ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ছাতক থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মইন উদ্দিন, এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম সহ থানার অফিসার ফোর্স ও পুলিশ সদস্যরা টহলকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন।সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন জানান, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যার পর থেকে ঔষধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে৷ দুই-একটি দোকান খোলা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে৷
এলাকার অলিগলিতে কাউকে কোন প্রকার আড্ডা না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনো উপজেলা বাসিকে অনুরোধ জানিয়েছি। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ উপজেলাবাসি সচেতনভাবে ঘরে অবস্থান করলেও কিছু কিছু এলাকায় বা পাড়া মহল্লায় বিচ্ছিন্ন ভাবে লোকজন আড্ডা দেয়ার অভিযোগ আমরা পাচ্ছি৷ তাৎক্ষণিক থানার একাধিক টিম সেই স্থান গুলোতে অভিযানে নামলে তারা ঘরে ঢুকে যাচ্ছে৷ হয়তো তারা ভাবছে পুলিশকে ফাঁকি দিচ্ছে কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রামনকে কিন্তু ফাঁকি দেয়া যাবে না৷ তাই এসব আড্ডা বন্ধে প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার অলিগলিতে পুলিশি টহল আরো জোরদার করা হয়েছে ৷ সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের টহলে থানার ওসিসহ থানার সকল অফিসাররা অংশ নিচ্ছেন। ঔষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ নিশ্চিতকরণসহ অলিগলির ভেতরে যে কোন প্রকার আড্ডা, জটলা বা অতিরিক্ত জনসমাগম দেখা মাত্র পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা ৷ হ্যান্ড মাইকে এলাকাবাসিকে ঘরে থাকার আহবান জানানোসহ টহল গাড়ীতে করে এলাকাবাসিকে করোনাভাইরাস সংক্রামণ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন জনসচেতনামূলক প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।