
ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে মাদ্রাসা সংলগ্ন নির্মানাধীন মসজিদের ভূমি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলে স্থানীয়ভাবে তা নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন গ্রামের লোকজন। কাঞ্চনপুর মাদ্রাসা ও মসজিদের ভূমিদাতা হচ্ছেন গ্রামের আব্দুল বাছির ওরফে আছির আলী। তিনি তার রেকর্ডিয় ও খরিদা প্রায় ৩৫ শতক ভূমি মসজিদ মাদ্রাসার নামে দান করেছেন। ইতিমধ্যে ১০ শতক ভূমি মাদ্রাসা মসজিদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন।
মৈশাপাহা মৌজার ৩৪৩ নং খতিয়ানে ২৬১ নং দাগের আরও প্রায় ২৫ শতক ভূমি মসজিদ মাদ্রাসার নামে দলিল করে দেয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কাঞ্চনপুর মসজিদ মাদ্রাসার নামে প্রায় ৩৫ শতক ভূমি দান করে দেয়ার পরও অত্র ২৬১ নং দাগে আব্দুল বাছির ওরফে আছির আলীর আরও কিছু ভূমি রয়েছে। কিন্তু একই গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র আবেদ আলী ও জাবেদ আলী নির্মানাধীন মসজিদের ভূমিতে অবৈধভাবে দাবি করায় এ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। মৈশাপাহা মৌজায় ৩৪৩ খতিয়ানে ২৬১ দাগের মধ্যে মোট ভূমি রয়েছে ৫৬ শতক।
এর মধ্যে নিজ নামে রেকর্ডিয় ও মোবারক আলীর ওয়ারিশানদের কাছ থেকে এবং আরব আলীর কাছথেকে ক্রয়কৃত ভূমি মিলিয়ে প্রায় ৩৫ শতক ভূমি কাঞ্চনপুর মসজিদ মাদ্রাসার নামে দান করেছেন আব্দুল বাছির ওরফে আছির আলী। মোবারক আলীর ওয়ারীশানদের কাছ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৭৫ ইং তারিখে ১১৭৩ নং দলিলে, ৬ মার্চ ১৯৮২ ইং তারিখে ৪৫৩৬ নং দলিলে ও ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ৩২৮৪ নং দলিলে প্রায় ১১ শতক ভূমি ক্রয় করেন আছির আলী। তিনটি দলিলের ভূমি নিজের নামে নামজারীও করিয়েছেন। যার খতিয়ান নং ৯০৩। এদিকে রেকর্ডিয় মালিক মন্তাজ আলীর নিকট হইতে ১৯৮১ সালের ১০ এপ্রিল ৫৭৯৪ নং দলিলে ২৬১ দাগের ১০.৮৫ লিংক জমি ক্রয় করেন আরব আলী।
এ ভূমি আরব আলীর কাছে থেকে ১৯৮১ সালের ৮ মে ৬৭২১ নং দলিলে ক্রয় করেন আছির আলী। এসব খরিদা ও মৌরশী স্বত্ত থেকে ৩৪.৮২ লিংক ভূমি মসজিদ মাদ্রাসায় দান করেছেন আব্দুল বাছির ওরফে আছির আলী। মসজিদ মাদ্রাসার এ ভূমিতে আর কারো দাবি নেই। তদুপরি একই দাগে কিছু ভূমির মালিক জাবেদ আলী, আবেদ আলী থাকলেও তাদের ভূমি মসজিদ মাদ্রাসার দেয়ালের বাহিরে রয়েছে। তারা শত্রুতাবসত নির্মানাধীন মসজিদের ভিটভূমি দাবি করে মসজিদ মাদ্রাসার ক্ষতি সাধনে লিপ্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে ছাতকবার্তা ও সিলেটের কাগজ নামীয় অনলাইনে দু’টি ভুয়া ও বানোয়াট নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে মৈশাপুর মৌজার ৬১ দাগের ভূমিতে জাবেদ আলী ও আবেদ আলী দাবিদার। এখানে মৈশাপুর বলে কোনো মৌজাই নেই। কাঞ্চনপুর মসজিদ মাদ্রাসা মৈশাপুর মৌজার ৬১ দাগে নয়। প্রকাশিত দু’টি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে মসজিদ মাদ্রাসার পরিচালক মাও. মুহিউদ্দিন বলেন দু’টি অনলাইনে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা মানহানিকর ও মসজিদ মাদ্রাসার ক্ষতির কারন বটে। তিনি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এহেন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।