আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী মহামারী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়া বাংলাদেশী প্রবাসীদের আইসোলেশন থাকা অবস্থায় নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিঙ্গাপুর আইসোলেশনে থাকা করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীদের সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড় করিয়ে নৃত্য করানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৫ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, ১ জন স্বাস্থ্যকর্মী এক্সপোতে নৃত্যের তালে তালে করোনা পজিটিভ রোগীদের ব্যায়ামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷
ভিডিওতে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের মিউজিকের তালে তালে নৃত্য করছে। করোনাভাইরাসে পজিটিভ এমন একদল শ্রমিককে স্বাস্থ্যকর্মীর নাচের অনুসরণ করতে দেখা গেছে। সঙ্গে আরো বেশকিছু নার্স নাচছতে। উডল্যান্ড হেলথ ক্যাম্পাস-এর এক মুখপাত্র দ্য স্ট্রাইটস টাইমসকে বলেছেন, ‘এক্সপো স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা রোগীদের সুস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে গত সোমবার (১১ মে) একটি ধারাবাহিক অনুশীলন শুরু করেছে’।তিনি আরো জানান, ‘এই কাজগুলি করোনা রোগীদের মন-মেজাজ ভালো রাখবে এবং কমিউনিটি কেয়ার সুবিধাতে (আইসোলেশনে) থাকা অভিবাসী কর্মীদের সক্রিয় থাকতে সহায়তা করবে৷ এখন পর্যন্ত এই নাচের প্রতিক্রিয়া এবং অংশগ্রহণ ইতিবাচক হয়েছে’।
স্বাস্থ্যকর্মীরা শারীরিক ব্যায়াম করার সময় করোনা রোগীদের স্বাস্থ্য এবং শ্বাসকষ্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন৷ করোনা রোগীদের অক্সিজেনের লেভেল ব্যায়ামের পর পরিমাপ করা হয়। এর মাধ্যমে কারো বেশি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হলে তাকে শনাক্ত করে চিকিৎসা সেবা দিতে সুবিধা হয়৷জানা যায়, এই ব্যায়ামের মাধ্যমে তারা করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা টিপসও প্রদান করে থাকেন৷ তাছাড়া শারীরিক ব্যায়ামের সময় সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়৷
এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, নাচের ভিডিও অনলাইনে দেখে আমার মনটা সত্যিই ভালো হয়ে যায়৷ এখন যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাদের অনেকেরই মন খারাপ৷ তারা মানসিক অশান্তিতে ভুগছে৷ তাদের চোখে-মুখে ভয় ভাব ফুটে উঠেছে৷ অনেকে কল দিয়ে তাদের ভয় ও আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।এমতাবস্থায় নাচের তালে তালে এমন শারীরিক ব্যায়াম করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মানসিকভাবে অনেকটা প্রফুল্ল রাখবে৷ তারা ক্ষণিকের জন্য হলেও বিনোদিত হবেন বলেন চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়৷
আইসোলেশনে থাকা আরো এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, ‘এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। তবুও সবসময় আমাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলেন৷ তাদের এমন সুন্দর আচরণ মন ভালো করে দেয়’৷তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক চিকিৎসক আছেন যারা বড় ডিগ্রিধারী নন কিন্তু তাদের কাছে রোগীদের ভিড় লেগেই থাকে। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ডাক্তার নার্সদের কাছ থেকে একটু ভালো ব্যবহার রোগীদের মানসিক শক্তি দেয়। ওষুধের পাশাপাশি মানসিকভাবে শক্ত থাকাটাও খুব জরুরি’।জানা যায়, সিঙ্গাপুর এক্সপোতে মোট ১০টি হল আছে৷ যেখানে মোট আট হাজার করোনা ভাইরাস পজিটিভ রোগীদের সেবা দেওয়া যায়৷