
প্রিয়জনদের ভালবেসে আমরা কতইনা উপহার সামগ্রী দেই। কেউ দেয় স্বার্থে আবার কেউবা দিয়ে থাকে নি:স্বার্থে। তবে হাসপাতালে ভর্তি মুমুর্ষ রোগিকে যারা রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচান তারাই দেখাচ্ছেন প্রকৃত প্রেম। সমাজে অনেকেই আছেন তারা রক্ত দিয়ে মুমুর্ষ রোগির প্রাণ বাঁচায়। এদেরকে অনেকেই বলে থাকেন রক্তের ফেরিওয়ালা। এদের মধ্যে একজন আবদুল মজিদ।তিনি ছাতকের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও গ্রামের বাসিন্ধা, ভুইগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য।১৫ই মে শুক্রবার বিকেলে সিলেট রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মুমুর্ষ মহিলাকে নিজের (ও প্রজেটিভ) রক্ত ৯তম বারের মত সেচ্ছায় দান করেন।
লকডাউনে জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে সবকিছু বন্ধ রয়েছে। লকডাউনে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনও। যে কারণে অসুস্থদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগির স্বজনদের। রক্তের ফেরিওয়ালারাও যথা সময়ে পৌঁছতে পারছেন না হাসাতালে। এই পরিস্থিতিতে একজন মুমুর্ষ মহিলাকে রোজা রেখে করোনা কালে মানবিকতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন আবদুল মজিদ।রক্তদানকারী আবদুল মজিদ বলেন, রোজা ভেঙ্গে রক্তদান করেছেন। তিনি অারো বলেন, আমরা সকলেই একটা কঠিন সময় পার করছি। এসময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার মতো সকলেরও কর্তব্য।