
নিউজ ডেস্কঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামায়াতে শরিক হওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।আজ রবিবার (২৪ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।তিনি জানান, ‘আগামীকাল (সোমবার ২৫ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইতিমধ্যে অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন এবং এখনও যাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ থাকবে, সবাই স্বাস্থ্য নিয়মগুলো মেনে চলবেন।
সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। কমপক্ষে ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামায়াতে শরিক হবেন। সব মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ, ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকবেন।’নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন। ঈদের আনন্দ উচ্ছলের কারণে তারা যেন ঝুঁকির সম্মুখীন না হয়। অবশ্যই শিশুসহ সবাইকে নিয়ম অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিতে হবে। বাইরের খোলা খাবার খাবেন না।
করোনাভাইরাস নাক-মুখ ও চোখের মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। কাজেই নিজের হাতের প্রতিও সজাগ থাকবেন। অযথা নাক, মুখ ও চোখে হাত দেবেন না। শিশুদের এ বিষয়ে সচেতন করবেন। মনে রাখবেন, করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা, সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চলাই আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।’করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো জানান, ‘যারা ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা আইসোলেশনের নিয়মগুলো মেনে চলবেন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবেন। পানি ও তরল খাবার বেশি করে খাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- লেবু, কমলা, মালটা, পেয়ারা ও অন্যান্য টাটকা শাক-সবজি খাবেন। জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খান।
ডিম, মাংস, কুমড়া ও লাউয়ের বীজ, পালংশাক, মাশরুম, রসুন, দুধ ও দুগ্ধজাত থেকে জিঙ্ক পাওয়া যায়। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে খাবারের পাশাপাশি মনোবলও চাঙা রাখবেন। হালকা ব্যায়াম করবেন, ফুসফুসের ব্যায়ামও করবেন। ফুসফুসের ক্ষমতাকে কার্যকর রাখবেন।’বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃতের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, মহামারি প্রণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ৪৮০ জনে। একই সাথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১ হাজার ৫৩২ জন। এতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬১০ জন।