নিউজ ডেস্কঃ
দীর্ঘ দুই মাস পাঁচ দিন পর বাস, লঞ্চসহ অন্যান্য গণপরিবহন আগামী ৩১ মে থেকে চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এসব গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাস ও লঞ্চে কীভাবে যাত্রী বহন করা যাবে- তা কৌশলও নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এছাড়া যাত্রী কমিয়ে দেয়ার কারণ বাড়ানো হতে পারে বাস ও লঞ্চের ভাড়াও। এসব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মে) মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
তবে এসব পদক্ষেপ নেয়ার পরও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা যায়।এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।নৌ-পরিবহন-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ জানান, “(৩১ মে) থেকেই সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায় সত্য, তবে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এই পরিস্থিতি এভাবে থামিয়ে রাখা যায় না। আমাদের যেমন স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে, তেমনি অর্থনীতির কথাও চিন্তা করতে হবে।”
তিনি আরো জানান ,“আমরা চাই আমাদের শ্রমিক ও যাত্রীরা যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। সেই চিন্তা করেই কিভাবে এটা সমন্বয় করা যায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে, পরিবহন খরচ কিভাবে মেটানো যায়, সে ব্যাপারে আমরা আলোচনার ভিত্তিতে যাত্রী পরিবহন শুরু করব।”গণপরিবহন চালু প্রসঙ্গে ভিডিও বার্তায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার গণপরিবহন চালুর বিষয়ে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে বিআরটিএ-সহ বসে আলাপ-আলোচনা করে একটি পরিকল্পনা গ্রহণের অনুরোধ করছি। গণপরিবহন পরিচালনায় যাত্রী, চালক ও শ্রমিকদের সুরক্ষায় সুনির্দিষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। মনে রাখতে হবে করোনা সংক্রমণের বিস্তার যেন না ঘটে এবং সংকটকে আরও ঘনীভূত না করে। জনস্বার্থে সরকারের দেওয়া এ ছাড় ফ্রি-স্টাইলে অপপ্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা আছে।