
গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে করোনায় মৃতবরণকারীর ব্যাক্তির লাশ বহনের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স আঞ্জুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অঙ্গসংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশকে প্রদান করলেন আলম-আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের পক্ষে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুব আলম ও তার ছোট ভাই চেম্বরারের সাবেক পরিচালক আলমগীর পারভেজ। এ সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এ এ্যাম্বুলেন্স এর চাবি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় আঞ্জুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ মহসিন উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থেকে এ্যাম্বুলেন্সটির চাবি হস্তান্তর করেন গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ¦ পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনারের হাতে। একইসাথে এ্যাম্বুলেন্স এর সেবা কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আঞ্জুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি গিয়াস উদ্দিন সাকের, গাউসিয়া কমিটির মহাসচিব শাহজাদা ইবনে দিদার,
যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, মহানগর গাউসিয়া কমিটির সদস্যসচিব সাদেক হোসেন পাপ্পু, মনোয়ার হোসেন মুন্না, এরশাদ খতিবী, লাশ দাফন-কাফন সেবা কার্যক্রমের টিম সদস্য মাহফুজুর রহমান, আহসান হাবিব, হামিদুর রহমান ও আবদুল করিম সেলিম। আলম-আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের পক্ষে দৈনিক পূর্বদেশের সহকারি সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল উপস্থিত ছিলেন। চাবি হস্তান্তরের পর মুহাম্মদ মহসিন আলম-আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের পৃষ্টপোষক মাহবুব আলম ও আলমগীর পারভেজের পরিবারের জন্য এবং দেশ ও জাতিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এ্যাম্বুলেন্সটি করোনাকালীন সময়ে গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক টিম যারা লাশ দাফন-কাফন ও জানাজার ব্যবস্থা করছেন তারা লাশ বহনে ব্যবহার করবেন। উল্লেখ্য যে, আঞ্জুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের নির্দেশনায় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদ গত মার্চে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের লাশ দাফন-কাফনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পদক মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ারকে সমন্বয়ক করে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তদারকি কমিটি এবং মহানগর সদস্যসচিব সাদেক হোসেন পাপ্পুকে টিম প্রধান করে পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মীর বড় একটি টিমলাশ দাফন-কাফনের কার্যক্রম শুরু করে।
সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী এ যাবৎ ১৮৩টি লাশ দাফন ও কাফনের ব্যবস্থা করেছে এ টিম। কিন্তু তাদের ‘কোন এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় এ কার্যক্রমের গতি পাচ্ছিলনা’- গণমাধ্যমে এমন সংবাদ পরিবেশনের পর চেম্বারের সভাপতি মাহবুব আলম ও তাঁর ভাই আলমগীর পারভেজ তাদের পিতা-মাতার নামে গঠিত আলম-আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ এ্যাম্বুলেন্সটি প্রদান করেন।