গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির তত্তাবধানে চট্টগ্রাম নগর, জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক টিম গত শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ১১জন ধর্মপ্রাণ মুসলিমের লাশ দাফন ও ১জন সনাতন ধর্মাবলম্বীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করলেন গাউসিয়া কমিটি। এর মধ্যে ও আর নিজাম রোড নিবাসী বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুরের লাশ ও রয়েছে। রবিবার বাদে জোহর নগরীর হজরত গরিবুল্লাহ শাহ (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গণে জানাজা,
জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অনার দেয়ার পর সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারের তত্তাবধানে মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুরের লাশ দাফন করেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক টিম। এছাড়া রাঙ্গুনিয়া বেতাগী নিবাসী কিরণবালা ও একটি শিশুও রয়েছে। এছাড়া রাউজানের মোহাম্মদ সৈয়দ ও গাউসিয়া কমিটি উত্তর জেলার প্রচার সম্পাদক আহসান হাবিব হাসানের পিতা ইউসুফ চৌ, হাশমত আলী চৌ বাড়ি, সুলতানপুর, নবজাতক, বড় মহেশখালী আবদুল আজিজের পুত্র, বোয়ালখালি, গোমদন্ডী বহদ্দার পাড়ার আজিম, চিকদাইর, রাউজান নিবাসী জেনারেল হাসপাতালে মৃত দিল মোহাম্মদ, জেনারেল হাসপাতালে মৃত ফতেয়াবাদের নুর হোসেন,
রাঙ্গুনিয়া সরফ ভাটা নিবাসী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মৃত ইসমত আরা, শুলকবহর, ৮ নং ওয়ার্ড, রফিক, ও আর নিজাম রোড আবাসিক, খুলশী নিবাসী মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, চন্দনাইশের বরমা সৈয়দ আবু নাসের। উল্লেখিত দাফন-কাফন-গোসল ও কৃত্য অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম নগর, এ এসএফ, রাংগুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী, মহেশখালী ও চন্দনাইশ গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক টিম। এসব লাশের অধিকাংশের অ্যম্বুলেন্স সেবা দেন গাউসিয়া কমিটির নিজস্ব পরিবহন। উল্লেখ্য যে, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ গত ১৩ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে ৬৯৫ এবং শুধু চট্টগ্রামে ৫১৯টি লাশের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করেন।