দর্শনা প্রদিনিধি :
যেকোন মূল্যের বিনিময়ে মাদককে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার ঘোষনা সারা দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ নেন। মাদক মুক্ত দেশ গড়নের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে নির্দেশ মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন। মাদক মুক্ত জেলা গড়নের অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে নেমেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। জেলার প্রতিটি থানা, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও ফাড়িগুলোতে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা গ্রহনের নির্দেশনা রয়েছে পুলিশ সুপারের। সে মোতাবেক দর্শনা থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান রয়েছে অব্যাহত।
দর্শনা পুলিশের মাদক বিরোধী লাগাতার অভিযানে নাজেহাল হয়ে পড়েছে মাদক কারবারীরা। গ্রেফতারের যেমন পড়েছে হিড়িক, তেমনি মাদক কারবারীচক্রের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে দলেদলে। গোটা এলাকার মাদক কারবারীদের মধ্যে বিরাজ করছে গ্রেফতার আতংক। এলাকারবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার অন্যতম একটি দাবী মাদক মুক্ত দর্শনা এলাকা। সে দাবী পূরণে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহাব্বুর রহমান কাজলের নেতৃত্বে সকল অফিসার ও ফোর্স ছুটছেন অবিরাম।
দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে থানায় উন্নিত হয়েছে চলতি বছরের গত শনিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি। নতুন থানার প্রথম ওসি হিসেবে যোগদান করে মাহাব্বুর রহমান কাজল ও মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেন। মাদক মুক্ত করণের লক্ষে ওসি মাহাব্বুর রহমান বৈঠকে করেছেন সুধিসমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সাথে। মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযানে মাহাব্বুর রহমান কাজলের সাথে রয়েছেন ওসি (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান। দর্শনা থানা সুত্রে জানা গেছে, থানা উদ্বোধনের ৫ মাস পেরিয়েছে।
গত ৫ মাসে দর্শনা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে অন্তত ২৬২ জন অভিযুক্ত মাদক কারবারীকে। ২১৩০ বোতল ফেনসিডিল, সাড়ে ৫৩ কেজি গাজা, ৭০১ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩৫ লিটার কেরুজ বাংলা মদ উদ্ধার করেছেন। অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল ও ওসি (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান অভিন্ন ভাষায় বলেন, মাদক ধ্বংশ করে ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা জাতীকে। তাই পুলিশ সুপার মহাদোয়ের নির্দেশে মাদক নির্মূলে আমরা সচেষ্ট। মাদক কারবারীচক্রের সদস্যরা যতই শক্তিশালী হোকনা কেন, হোক সে যে দলেরই তাকে গ্রেফতারে পিছুপা হঠবোনা। ফলে আপনার এলাকা মাদক মুক্ত করতে পুলিশকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে আপনাদেরকেই।