
পটিয়ার ১০ নং ধলঘাট ইউনিয়নের খরনখাইন গ্রামের রহমানিয়া মুহাম্মদিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে অধ্যয়নরত মোহাম্মদ আজাদ(১২) নামের এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে রহিম উল্লাহ (৪৫) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে উক্ত মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে রহিম উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পটিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর আসামী ও ভিক্টিমের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।এজাহারে বলা হয়, শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ভিক্টিম মোহাম্মদ আজাদ(১২) মাদ্রাসায় পড়তে যায়। শিক্ষক রহিম উল্লাহ তার ছাত্র আজাদকে ডেকে নিয়ে তার শয়নকক্ষে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রকে বলে উক্ত বিষয়টি যেন কাউকে না বলে। এজাহারে আরো বলা হয়েছে, শিক্ষক রহিম উল্লাহ এর আগে আরো বেশ কয়েকবার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক বিষয়টি কাউকে না বলতে বলে।পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, শনিবার রাতে খরনখাইন গ্রামের ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রহিম উল্লাহর কাছে বলাৎকারের শিকার হন মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ১২ বছর বয়সী আজাদ নামের এক আবাসিক ছাত্র। শিশুটি চাপড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।শনিবার বিকালে শিশুটি তার বাড়িতে ঘটনাটি জানালে শিশুর পরিবার থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১১টার দিকে পটিয়া থানার এসআই নাজমুলের নেতৃত্বে একটি টিম গিয়ে শিক্ষক রহিম উল্লাহকে ধলঘাট ইউনিয়নের খরনখাইন এলাকার ‘রহমানিয়া মুহাম্মদিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসা’ গ্রেপ্তার করা হয়।
শিক্ষকের বাড়ি কক্সবাজার জেলার খুরস্কুল গ্রামে।পরে রাতেই ওই শিশুটির বাবা মোহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
এদিকে রোববার দুপুরে নির্যাতিত ছাত্রের শারীরিক পরীক্ষা শেষে বিকালে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বে স্বর সিং-এর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।এদিকে চাপড়া গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ রবি বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক, কিন্তু রক্ষক যখন ভক্ষক হয়ে যায়, তাহলে সেখানে আর কোন আস্থা থাকেনা। তিনি রহিম উল্লাহর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।রহমানিয়া মোহাম্মদিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুর রহিম বলেন, অপরাধী যেই হোক, আমরা তার শাস্তি নিশ্চিত করব। তিনি রহিম উল্লাহকে উক্ত মাদ্রাসা থেকে চাকরিচ্যুত করবেন বলে জানান।