সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর উপর সুরমা সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়ক ও অত্যাধুনিক টোল প্লাজা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার মুহিবুর রহমান মানিক এমপি বলেছেন, অভিমান করা ভুমি মালিকরা তাদের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ায় সুরমা সেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে আর কোন বাঁধা রইল না। সুরমা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে উত্তর সুরমার মানুষের মধ্যে এক অভুতপূর্ব যোগাযোগ ব্যবস্থার স্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, এক সময় বৃহত্তর ছাতক অঞ্চলের মানুষ শুকনো মৌসুমে পায়ে এবং বর্ষায় নৌকায় যাতায়াত করতেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশের ন্যায় এ অঞ্চলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের মুল ভীত রচিত হয়। এ সময় সংসদ অধিবেশনে সুরমা সেতু নির্মাণের বিষয়ে তার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুরমা সেতু নির্মাণে অপরিকল্পিত একটি অংশের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সুরমা নদীর নাব্যতা ও উচ্চতা বিবেচনায় আনা হয়নি।
ওই অপরিকল্পিত প্রকল্পে সেতু নির্মাণ করা হলে নৌ-পথে এ অঞ্চলের ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ হয়ে যেতো। বর্তমানে প্রকৌশলগত পরিবর্তন এনে সুরমা সেতুর কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সুরমার উত্তর পাড়ে আরো একটি সিমেন্ট কারখানা নির্মিত হতে যাচ্ছে। এ সিমেন্ট কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করতে সৌদি আরবের আলরাজি কোম্পানী বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া ইসলামপুর এলাকায় নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি বিশাল অর্থনৈতিক জোন। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের আমুল পরিবর্তন ঘটবে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কিবরিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ছাতক সওজ’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় এমপি মানিক আরো বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় জননেত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জবাসীর জন্য বৃহৎ দুটি প্রকল্প গ্রহন করেছেন। সুনামগঞ্জ থেকে হাওর অঞ্চল দিয়ে ধর্মপাশার জয়শ্রী পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের সাথে নেত্রকোনা হয়ে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপন এবং ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারিত করা। এ দুটি প্রকল্পও বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জ হবে প্রাচ্যের প্যারিস।
উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সওজ সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সুহেল মাহমুদ, সওজ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. আবদুর রহিম, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, দোয়ারা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালেহা বেগম প্রমুখ।
এসময় ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজুর মোরশেদ, ছাতক সরকারী ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ, অধ্যক্ষ আবদুল গাফফার, ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুস ছাত্তার, অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল আহাদ, প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোশাহিদ আলী, চান মিয়া চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্মসাধারন সাধারন সম্পাদক অালহাজ্ব জয়নাল ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাষ্টার, গয়াছ আহমদ, অদুদ আলম,
সায়েস্থা মিয়া, বিল্লাল আহমদ, আখলাকুর রহামান, মুজাহিদ আলী, কাজী আনোয়ার মিয়া, আমিরুল হক, সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সুন্দর আলী, আবদুল খালিক, ফজর উদ্দিন, আফজাল আবেদীন আবুল, মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন লালা, শুকুর আলী, মাদরাসা সুপার মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, মাওলানা কামরুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বাবুল, এড. সামছুর রহমান, আফতাব উদ্দিন, আবদুল আউয়াল, মাফিজ আলী, দবিরুল ইসলাম, জামাল মিয়া, সামছু মিয়া,
গিয়াস উদ্দিন, মুহিবুর রহমান টুনু, আলাউদ্দিন, বাবুল রায়, ছাব্বির আহমদ, আওলাদ আলী, হুমাউন কবির লাকি, নাজমুল হোসেন, কৃপেশ চন্দ, সহিদুল ইসলাম, সুমন চৌধুরী, ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া, আবদুস ছালাম, আবদুল মালিকসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এমপি মুহিবুর রহমান মানিক সুরমা সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়ক ও অত্যাধুনিক টোল প্লাজা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকদের চেকের মাধ্যমে পাওনা টাকা পরিশোধ করেন।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::