
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল খালেকের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের কীর্তিময় জীবন প্রজন্মের জন্য শিক্ষনীয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘কীর্তিময় জীবন’ চট্টগ্রামসহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যভুক্ত করার সুপারিশ করেন। গত ৩ অক্টোবর শনিবার বিকালে নগরীর জামাল খান রীমা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক’ বাংলাদেশের সংবাদপত্রের অন্যতম পথিকৃৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেকের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চবি’র প্রাক্তন উপাচার্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ। বঙ্গবন্ধু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ দিদার আশরাফী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আলী আহমদ শাহিনের যৌথ স ালনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল।
মুখ্য আলোচক ছিলেন রাষ্ট্রীয় একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া ও শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা। সেমিনারে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আজাদী ও চট্টগ্রাম একে অপরের পরিপূরক।
দৈনিক আজাদী পত্রিকাকে বাদ দিলে চট্টগ্রাম নিয়ে আলোচনা চলে না। আবার ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেককে বাদ দিলে চট্টগ্রামের ইতিহাস বিশেষ করে আধুনিক মানুষের মনন চর্চার ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।তিনি আরো বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক সংবাদপত্র জগতে না এসে অন্য কাজও করতে পারতেন। কিন্তু তিনি ওই সময়েই চিন্তা করেছিলেন, চট্টগ্রামের মানুষের মনের কথা, মানুষের সুখ-দুঃখের কথা, মানুষের সমস্যা এবং চট্টগ্রামের অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরার জন্য সংবাদপত্রের বিকল্প নাই। তাই তিনি পত্রিকা প্রকাশনার পথে আসেন এবং তার আসাটা সার্থক হয়েছে। কারণ, আজ আজাদী পত্রিকাকে মানুষ নিজের করে নিয়েছে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আজাদী পড়তে না পারলে মানুষের মন কেমন যেন আনচান করে। প্রশাসক বলেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মানুষ আজাদী দেখে বলে, আমার মনের কথাটাই লিখেছে, আমার এলাকার সমস্যার কথাই লিখেছে। তাই মানুষ আজাদীকে নিজের ভাবছে।সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, সমাজ বদলাতে এবং সমাজে সচেতনতা সৃষ্টিতে সংবাদপত্র কতটা ভূমিকা রাখতে পারে সেটা অনুধাবন করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক।
সেজন্য তিনি প্রকৌশলী হয়েও, এমনকি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মতো বিদ্যুৎ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিলেন। কীর্তিমান পুরুষ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক সাংবাদিকতা জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন এবং সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য নিজেকে নিবেদন করেছেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হাজী সাহাব উদ্দীন। বিভিন্ন সংগঠন থেকে বক্তব্য রাখেন ১৪ দলীয় জোট নেতা স্বপন সেন, জাসদ নেতা ভানুরঞ্জন চক্রবর্ত্তী ন্যাপ নেতা মিঠুল দাশগুপ্ত, জাসদ নেতা সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, লায়ন এ.কে. জাহেদ চৌধুরী,
প্রণবরাজ বড়–য়া, সাংবাদিক হারুন উর রশিদ, মানবাধিকার সংগঠক এম.এ.আর.এস. রাসেল, আলহাজ্ব ওসমান গণি, মাওলানা মহিউদ্দিন আলকাদেরী, হাজী মোহাম্মদ শাহজাহান, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাছির, উপন্যাসিক ও লেখক শাম্মী তুলতুল, তাপন কান্তি দত্ত, মোঃ সোলায়মান, ডা. মোঃ মোস্তফা হোসাইন, মিলন কান্তি রুদ্র, কেপায়েত উল্লাহ আরমান, জি.এম. ফয়সাল পারভেজ, ডা. এম.এ. সাগর, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান মিলন, মুক্তিযোদ্ধা এম.এ. সালাম, নোমান উল্লাহ বাহার, ইসমাইল মঞ্জুর আশরাফী, কাজী আয়ুব, মালেকা চৌধুরী, পারভীন চৌধুরী, মোঃ তিতাস, মোঃ ইউনুচ, ইয়াছিন সেলিম প্রমুখ।