আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
দেশের ৬৮ হাজার গ্রামে সমাজ উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণমূলক কর্মকান্ড নিশ্চিত করা সহ সেবার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের “সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর বা সমাজ সেবা বিভাগ”। যদিও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সমাজসেবা বিভাগের লোকেরা কতটা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিছু কিছু সমাজসেবা কর্মকর্তার অপকর্মের কারণে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি মাঝে মধ্যে ক্ষুন্নও হয়।
তবে সমাজসেবা বিভাগে এমন কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নিজের সুবিধার কথা চিন্তা না করে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। দেশ এবং জনগণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণের জন্য কাজ করেন। এ ধরণের সমাজসেবা কর্মকর্তাদের কর্মকান্ডের কারণে জনগণ সমাজসেবা বিভাগকে পরমবন্ধু হিসাবে মূল্যায়ন করে থাকে।
এমনই একজন সমাজসেবা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম।
যিনি নিজেকে কখনও সরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা হিসাবে নয়, সাধারণ মানুষের একজন সেবক হিসাবে, অতিসাধারণ বেশে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেন।
তিনি দীর্ঘ দিন যাবত সমাজসেবা অফিসার হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় কর্মরত আছেন। তিনি এখানে যোগদানের পর জনস্বার্থ ও মানবিক সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন যা স্থানীয় জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
যার মধ্যে আলোচিত সমাজে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘাত-সংঘর্ষের অবসান, বিশেষ করে এতিম ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে তাদের পাশে দাঁড়ানো, মসজিদ -এতিমখানা উন্নয়নকাজে ভূমিকা রাখা, নিজে পরিত্যক্ত একটি জায়গায় সবজি চাষ করে পরবর্তীতে তা দেখিয়ে অন্যান্য মানুষকে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়া সহ নানা গুণে এখন তিনি উপজেলার হতদরিদ্র মানুষ সহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের ভালোবাসা জয় করেছেন।
সরাইল উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. জহিরুল ইসলামের ন্যায় দেশের প্রতিটি সমাজসেবা অফিসার সেবার এমন প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে জনগণের পরমবন্ধু হিসাবে পরিচিতি লাভ করুক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।