
ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ চত্বর এলাকায় যানজট নিরসন, রেলক্রসিং সংলগ্ন পরিত্যাক্ত ভবনসহ চত্বর এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সংস্কার কাজ গতিশীল করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। গত রোবাবার সকালে গোবিন্দগঞ্জ কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির আয়োজনে গোবিন্দগঞ্জস্থ আশরাফুর রহমান চৌধুরী কনফারেন্স হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিনś প্রশেśর জবাব দেন গোবিন্দগঞ্জ কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি আশরাফুর রহমান চৌধুরী, লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক কাজী মাওলানা আব্দুস সামাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলী হোসেন, আবুল কাশেম,
শেবুল আহমদ সাদিক, ইব্রাহিম আলী, হাফিজ আশিক উদ্দিন প্রমুখ।লিখিত বক্তব্যে কাজী মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের গোবিন্দগঞ্জ একটি বানিজ্যিক এলাকা। এখানে রয়েছে স্কুল, মাদরাসা, কলেজ, এনজিও, ব্যাংক, বীমা ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা। গোবিন্দগঞ্জ রেলক্রসিং চৌমুহনী এলাকায় জবরদখল জনিত কারনে যানজট চরম আকার ধারন করেছে। সড়কের দুপাশের খালে নির্মীত অবৈধ স্থাপনা থেকে কতিপয় হোটেল ব্যবসায়ীরা ছাঁই ফেলে ভরাট করা হয়েছে।
যে কারনে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী, পথচারী ও সাধারন মানুষজন। অন্যদিকে চত্বর এলাকায় পুরাতন ড্রেইন না ভেঙ্গে ওই ড্রেইনের উপর চলছে সড়ক সংস্কার কাজ। এতে যেকোন সময় সড়ক ধেবে যাওয়ার ঝুঁকি আশংকা। এছাড়াও নতুন ড্রেইন নির্মাণ কাজ অত্যন্ত নি¤ś মানের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। রেলক্রসিং সংলগś পরিত্যাক্ত ভবন উচ্ছেদ না করে ডিজাইনের বাইরে প্রস্থ কম দিয়ে সড়ক সংস্কার কাজ করেছেন ঠিকাদার।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ চত্বর এলাকায় যানজট এর মুল কারন সড়কের পশ্চিম পাশে সড়ক বিভাগের নামীয় শ্রেনী খালের উপর ঘর নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়াও চত্বর এলাকা দখল করে নিয়েছে হকাররা। যার ফলে আন্তঃজেলা মহাসড়ক চলমান চৌরাস্তায় যানজট লেগেই আছে। কতিপয় ভূমি খেকো চক্র ভূয়া কাগজে আদেশ ˆতরি করে প্রতারনা করছেন। সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় যানজটে কর্মঘন্টা বিনষ্ট হচ্ছে। যানজটের কারনে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও জনমনে মারাত্বক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সরকার এর ব্যাপক উনśয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে।
মহাসড়কের পাশে ১০ মিটার স্থাপনা থাকবেনা মর্মে উচ্চ আদালত কতৃক বাধ্যকর আদেশ থাকা সত্বেও তা কার্যকর হচ্ছেনা। সরকার ও জনস্বার্থে সড়ক সংস্কার কাজ গতিশীল এবং যানজট নিরসনে রেলক্রসিং এর পাশে পরিত্যাক্ত ভবনসহ গোবিন্দগঞ্জ চত্বর এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ডিজাইন অনুযায়ী সড়ক সংস্কার কাজ, জলাবদ্ধতা সমাস্যার সমাধানে পরিকল্পিত ড্রেইন ব্যবস্থা, হকারদের জন্য নিদিষ্ট জায়গা চিহ্নিত, সাদা পুলের সম্মুখ হতে ব্রিজ একাডেমি পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গার সীমানা নির্ধারন করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের’র সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
উল্লেখ্য করেন ২০১৫ সালে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্তকরণ প্র্রকল্পটি অনুমোদন ও এর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মানśানসহ জেলার সকল সংসদ সদস্যের জোরালো সুপারিশের পর একশ’৬০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেন। প্র্রকল্প অনুযায়ী সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ৬৪ কিলোমিটার উভয় দিকে ৩ ফুট করে মোট ৬ ফুট প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগ একশ’ ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দে দরপত্র আহ্বান করেন। এ কাজে সিলেটের জনবেরী নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান পেয়েছে। শুরু থেকে চলছে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ করেন এলাকাবাসির লোকজন।