
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান। পদ পাওয়ার পর একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করে যুবলীগের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্ঠা করা হচ্ছে। অথচ যুবলীগের উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান একজন পরীক্ষিত কর্মী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক। চট্টগ্রামের পটিয়া সদরের বাহুলী গ্রামের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মরহুম আব্দুল হাকিমের পুত্র।
পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। ১৯৮৯ সালে হাই স্কুলে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে পটিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগের সিনিয়র অনেক নেতারা জানান।জানা গেছে, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান ১৯৯০ সালে পটিয়া সদরের বাহুলী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৯২ সালে পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ১৯৯৫ সালে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য।
২০০৩ থেকে ২০১২ পর্যন্ত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বিএনপির ১৯৯৬ সালে একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদ আন্দোলনে রাজধানীতে যুবলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে স্বক্রিয় আন্দোলন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামূখি লং মার্চ নগরীর খুলশী থানায় গ্রেফতারসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে স্বক্রিয় অংশ গ্রহণ ছিলেন আব্দুর রহমানের।
এছাড়া রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া অসংখ্যা সংগঠনের সাথেও দীর্ঘদির ধরে যুক্ত এগুলোর মধ্যে পটিয়া ক্লাবের লাইফ মেম্বার, বাহুলী প্রগতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতি পটিয়া সদরের বাহুলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। সদস্য চট্টগ্রাম সিনিয়র ক্লাব, উপদেষ্ঠা বাহুলী অগ্রগতি সংঘ ও নগরীর এহসান স্কুল এন্ড কলেজের দায়িত্ব রয়েছে।
যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমানের মামা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব, তার ভাই ইরফানুর রহমান রাসেল বাহুলী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এই কমিটির সভাপতি ছিলেন পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট কামাল উদ্দীন। আব্দুর রহমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের তৎকালিন সভাপতি বর্তমান দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসলেও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আইয়ুব বাবুল ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন তার রাজনৈতিক গুরু।
পটিয়া থেকে ঢাকায় যাওয়ার পর বর্তমান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলমের মাধ্যমে যুবলীগের তৎকালিন দায়িত্বরত সভাপতি বর্তমান বাংলাশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজমের নেতৃত্বে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সারা দেশে তাদের সাথে সাংগঠনিক টিমে ছিলেন। এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবছার হোসেন জানান, আব্দুর রহমানকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপ ক্রীড়া বিয়ষক পদটি দেয়ার পর অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
রহমানের দীর্ঘ ত্যাগের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন ত্যাগী কর্মীকে মূল্যায়ন করায় পটিয়ার আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানায় এবং তৃণমূল নেতা কর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞ। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আইয়ুব বাবুল বলেন, আব্দুর রহমান দলের র্দুসময়ের সাহসী কর্মী, যখন পটিয়ায় হাতেগনা কয়েকন কর্মী ছিল সেই সময় আব্দুর রহমান পটিয়ার দলীয় প্রতিটি কর্মসূচি এবং শিশু সংগঠন শাপলা কুড়ি আসরের সাথেও যুক্ত ছিলেন।
দলের ত্যাগী কর্মীদের একদিন না একদিন মূল্যায়ন হবে তার প্রমান যুবলীগের বদিউল আলম ও আব্দুর রহমান তারা কর্মগুনে এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছেন তারা পটিয়াবাসীর গর্ব এবং আওয়ামী রাজনীতির অহংকার। এ বিষয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, আমি গ্রাম থেকে উঠে এসে রাজধানীতেও রাজনীতি করেছি, পদ পদবী নিয়ে কখনো লোভ করেনি, রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক জেল,
জুলুন নির্যাতনের শিকার হয়েছি। দীর্ঘ ৩১ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমাকে মূল্যায়ন করায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। স্থানীয় রাজনীতিতে নির্বাচনে কি ভূমিকা ছিল জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এমপি মহোদয়ও আমার সর্ম্পকে সব অবগত আছেন। সংগঠনকে এগিয়ে নিতে নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করার অঙ্গিকারবদ্ধ।