মাহমুদুল হাসান:ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ফারুক হত্যা মামলার আসামী সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খাঁন মুক্তির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিচারক মো. সিকান্দর জুলকার নাইন।সহিদুর রহমান খাঁন মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁনের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ছোট ভাই।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌশলি ( পিপি) মনিরুল ইসলাম খান জানান, দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার বুধবার (২ ডিসেম্ভর) ১০ টা দিকে সহিদুর রহমান মুক্তি তার বাবা সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান ও ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সাথে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পনের কাগজপত্র জমা দেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিকেল তিনটার দিকে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম, আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল বাকী মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম।প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলীর নামক দুইজনকে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার করে। ওই দুই আসামীর জবানবন্দিতে এই হত্যার সাথে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালিন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা এবং তার অপর তিন ভাই পৌরসভার তৎকালিন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি,
ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তার পরেই আমানুর ও সহিদুরসহ চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে আমানুর ২২ মাস পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসর্মপন করেন। প্রায় দুই বছর হাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে তার অপর তিন ভাই এখনো পলাতক রয়েছেন। আদালতে এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।