৯ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কন্যা। আন্তর্জাতিক বিশ্বে তিনি পরিচিত একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ও ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির উপর অর্জন করেন বিশেষ ডিগ্রি ।২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম ও স্নায়ুবিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে একসময় অটিজম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন ধারণা ছিল না। অটিজম একটি রোগ।তবে এটি কোনো মানসিক রোগ নয়। আর যেসব শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয় তাদেরকে বলা হয় অটিস্টিক। শিশু অবস্থায়ই এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। একসময় অটিস্টিক শিশুরা সমাজ ও পরিবারে ছিল অবহেলিত। অটিস্টিক শিশুর পরিবারকেও সামাজিক ভাবে অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হতো। তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতের বাইরে রাখা হতো। অটিস্টিক শিশুদের সাথে সাধারণ শিশুদের মিশতে দেয়া হতো না। অটিজম শিশুদের উন্নয়নে যিনি এগিয়ে এসেছেন তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
বাংলাদেশে একসময় অটিজম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন ধারণা ছিল না। অটিজম একটি রোগ।তবে এটি কোনো মানসিক রোগ নয়। আর যেসব শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয় তাদেরকে বলা হয় অটিস্টিক। শিশু অবস্থায়ই এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। একসময় অটিস্টিক শিশুরা সমাজ ও পরিবারে ছিল অবহেলিত। অটিস্টিক শিশুর পরিবারকেও সামাজিক ভাবে অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হতো। তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতের বাইরে রাখা হতো। অটিস্টিক শিশুদের সাথে সাধারণ শিশুদের মিশতে দেয়া হতো না। অটিজম শিশুদের উন্নয়নে যিনি এগিয়ে এসেছেন তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
বাংলাদেশে তিনি অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপার্সন। তাঁর পরিচালিত সূচনা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।তাঁর উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তিনি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্যানেলেও কাজ করছেন। তাঁরই উদ্যোগে ২০১১ সালের ২৫ জুলাই ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রথম বারের মতো ‘Autism Spectrum disorders and developmental disabilities in Bangladesh and South Asian’
এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ১১ দেশের অংশগ্রহণে ‘ঢাকা ঘোষণা’ গৃহীত হয়। যা অটিজম শিশুর উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা,অতিথি ছিলেন ভারতের অটিজম কর্মকান্ডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী,পাকিস্তানের স্পিকার ফাহমিদা মির্জা,শ্রীলংকার ফার্স্টলেডি শিরস্থি রাজাপাকাসে,মালদ্বীপের সেকেন্ড লেডি ইহাম হুসেন সহ মধ্যপ্রাচ্য ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা । গঠিত হয় ‘South Asian Autism Network (SAAN)’। যার সদর দপ্তর করা হয় বাংলাদেশে।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ‘নিউরোডেভলোপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩ পাশ করা হয়।মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা ও অটিজম বিষয়ক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালে ‘এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলীতে অটিজম বিষয়টিকে তিনিই অন্তর্ভূক্ত করেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১ টি দেশের অটিজম বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত হয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক চার দূতের একজন মনোনীত হয়েছেন।
অন্যরা হলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ কামাল, ফিলিপাইনের ডেপুটি স্পিকার লরেন লেগ্রেডা এবং কঙ্গোর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ তোসি মাপু। বিশ্বের ৪৮ টি দেশ সিভিএফের সদস্য।বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের ১০০ জনের তালিকায় স্থান পেয়েছে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পরিচালিত ‘ফাইভ অন ফ্রাইডে’ মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক অবদানের জন্য কাজ করা নারী নেতৃত্বের তালিকা তৈরি করে থাকেন।
অটিজম বিষয়ে সচেতনতা ও অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে সাময়া ওয়াজেদ পুতুলের অবদান অতুলনীয়।কয়েক বছর পূর্বেও আমাদের দেশে অটিজম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা ছিল।তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অটিজমের গুরুত্ব ও সচেতনতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।সুযোগ্য মায়ের সুযোগ্য কন্যা তিনি। মা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেমন দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে পেয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি,
কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও সমাজের বিশেষ শ্রেণি অটিস্টিক শিশুদেরকে নিয়ে কাজ করে পেয়েছেন অনেক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। মানুষের জন্য কাজ করাই বঙ্গবন্ধু পরিবারের আদর্শগত বৈশিষ্ট্য। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে যেভাবে দেশ ও বিদেশে কাজ করে আজ তিনি প্রতিটি অটিস্টিক শিশুর মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।