
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার চরভাগা বঙ্গবন্ধু স্কুলের রাস্তার পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। নবজাতকটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ওই নবজাতকের মা-বাবার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক দম্পতি শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন।হাসপাতালে গিয়ে ওই নবজাতকের পাশে থাকা সখিপুর থানার চরবাঘা ইউনিয়নের দেয়ারা চৌকিদার কান্দি গ্রামের বাবুল ব্যাপারীর স্ত্রী আছিয়া বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে কথা হয়।তিনি বলেন, শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্কুলের পাশে একটি পাথরের ওপর নবজাতকটি পড়ে থাকতে দেখি। ঠাণ্ডায় শিশুটি কাঁপছিল।
স্থানীয় লোকজন ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।তিনি আরও বলেন, আমার চার ছেলে, কোনো মেয়ে নেই। তাই মেয়েটিকে নিজের মেয়ের মতো লালন পালন করতে চাই।আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাবুল ব্যাপারী-আছিয়া বেগম শিশুটির দায়িত্ব নিতে চান।শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টটেন্ট ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, নবজাতকটির বয়স দুই দিন হতে পারে। ওজন দেড় কেজি। শিশুটি এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তার ঠান্ডাজনিত একটু সমস্যা রয়েছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ভেদরগঞ্জে পাওয়া এক নবজাতকে শনিবার বিকেলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে ডা. জহিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম রশিদুল বারী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছে।ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ বলেন, যেহেতু নবজাতকটির অভিভাবক শনাক্ত করা যায়নি। তাই সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।