
ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে পঞ্চায়েতের সালিশে না যাওয়ায় ৫টি পরিবারকে গত ২৯ দিন ধরে সমাজচ্যুত (একঘরে) করে রাখার এ ঘটনায় সালিশ কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে গত ১৪ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবরে বিনোদ পুর গ্রামের আছরব আলী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় এঘটনায় ১২টি গ্রাম মিলে গত রোববার উপজেলার ˆছলাআফজলাবাদ ইউপির বাগন গ্রামে এক ˆবঠক অনুষ্টিত হয়।
এ বৈঠকে আব্দুল খালিক মনাইসহ একাকিক ব্যক্তি মিলে মোস্তাক মাষ্টারের উপর আনিত অভিযোগ প্রত্যাহার না করলেই বাদী স্বপবিরার হত্যার হুমকি দেয়ায় এ ঘটনায় গত সোমবার বিনোদ পুর গ্রামে আছবর আলীর বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন বাদী আছরব আলী। জানা যায়, উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির বিনোদপুর গ্রামের আব্দুল খালিক মনাই ও আকবর আলীর মধ্যে জমি সংত্রুান্ত বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জের ধরে এলাকার প্রভাবশালী মাতব্বরা সালিশ ডেকে গত ২৩ নভেম্বর এলাকাবাসীর উদ্দ্যোগে ছৈলাআফজলাবাদ ইউনিয়নের খলাগাও গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এ সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় ৫টি পরিবারকে একঘরে ও সমাজচ্যুত ঘোষনা করেন।
তারা হলেন কবি আব্দুল আজিজ চৌধুরী,আছরব আলী,রহমত আলী রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হামিদ চৌধুরী। তাদের কথামতো সালিশে না উপস্থিত না হওয়ায় ৫টি পরিবারকে একঘরে সমাজচ্যুত ঘোষনা করেছেন গ্রামের দুনীতিবাজ প্রভাবশালী মাতব্বররা।গত ২৫ নভেম্বর আছরব আলী তার বাড়ি থেকে সুনামগঞ্জ জেলা দায়রা জজ কোটে একটি মামলার হাজিরা দিতে তার বাড়িতে থেকে সুনামগঞ্জ যাবার পথে বিনোদপুর -গোবিন্দগঞ্জ সরকারি রাস্তায় গোবিন্দগঞ্জ কলেজ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌছা মাত্র তার প্রতিপক্ষের লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে।
১৪ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক,জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা,ইউএন ও উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকতা ও থানার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এব্যাপারে সালিশ কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলে সালিশ কমিটি সভাপতি ছিলেন। একঘরি করার কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এব্যাপারে ইউপি মেম্বার আব্দুল মতিন জানান সালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে সত্য,কিন্ত সামাজিক বয়কট এমন সিন্ধান্ত নেয়া হয়নি।
আছরব আলী জানান, ২৯ দিন ধরে অবরোদ্ধ করে রাখা হয়েছে আমাদেরকে। রাস্তায় বের হলে মাতব্বররা পক্ষে লোকজন মারপিট করার হুমকি ও বিরুপ (টিটকারি) করছে আর বলছে মামলা ও অভিযোগ দিয়ে কি হবে। কিছু করতে পারবে না। সারা জীবন একঘরে থাকতে হবে। এব্যাপারে এস আই মোঃ ইয়াসিন মুন্সী এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযোগ পেলেই তদন্তপুবক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছেন। যে কোন সময় ভয়াবহ সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিতে পারে।