
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে হঠাৎ রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অতর্কিত এ হামলার ঘটনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির সেক্রেটারি আবুল হাশেম বক্করসহ নেতককর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আটকে আছে।বুধবার রাত ১১টার দিকে কোতোয়ালী থানার নাসিমন ভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রীস আলী বলেন, ‘আমাদের মেয়র প্রার্থীসহ আমরা পার্টি অফিসে অবস্থান করছিলাম।
এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল হঠাৎ পার্টি অফিসের সামনে এসে ককটেল ইটনিক্ষেপ করতে থাকে। শাহাদাত ভাইয়ের গাড়িসহ ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা অবরুদ্ধ হয়ে আছি।’রাত সোয়া ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ নাসিমন ভবনে মোতায়ন করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে।কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাস সুমনের নেতৃত্বে একটি মিছিল নাসিমন ভবন ক্রস করার সময় ভবনের ভেতর থেকে ককটেল ও ইট মারা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেও পাল্টা ইট মারা হয়।
দুপক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সবার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে দেখছি।’বিএনপির মেয়র প্রার্থী অবরুদ্ধ নন বলেও দাবি করেন ওসি কোতোয়ালী।এদিকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী সুমনের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বিরুদ্ধেও।দলীয় কার্যালয়ে অবস্থানরত অবস্থায় ডা. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এইটা আমাদেরই এলাকা। আমরা কেন পোস্টার ছিড়বো? আমার ঘরের সামনে আছে না? কেউ পোস্টার ছিড়েছে? বরং তারা আমাদের পোস্টার ছিড়েছে। আমার বাসার সামনে সব ইন্টেক পোস্টার লাগানো আছে। আমরা তো সহনশীল, তারা স্বীকার করেছে যে পোস্টার ছিড়েছি তাই হামলা করেছে। আমরা তো সুন্দর রাজনীতি করি।’