
জাতীয় বীমা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লি: বর্ণাঢ্য র্যালির আযোজন করে। এবারের জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’।আজ (১ মার্চ) সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় দিবসটিতে চট্টগ্রামের চান্দগাওঁ থানার মোড়ে সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লি: এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তালেবের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আযোজন করা হয়।
উক্ত র্যালিতে কোম্পানীর সিনিয়র জিএম মাহাবুব আলম, আবু সুলতান, মো: মোরশেদুল আলম, জিএম নুরুল আমিন, ডা: মীর হোসেন, মোজাম্মেলহক, ডা: রাশেদুল আলম, ডিজিএম হোসেন মোহম্মদ মিলন, এজিএম অরুন কান্তি দাশ, শিল্পী আকতার, রোকেয়া বেগমসহ, সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বীমা খাতের শুরু হলেও ২০২০ সালের পয়লা মার্চ প্রথমবারের মত জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়।প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেছিলেন।
ফলে দিনটিকে প্রতিবছর বীমা দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় এ খাতের উদ্যোক্তারা। তাতে সরকারও এর অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীমা দিবস হিসাবে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিবছর মেলার আয়োজন করা হলেও করোনার কারণে এবার অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে।বীমা হল নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কোন প্রতিষ্ঠানকে স্থানান্তর করা। দেশের পৌনে দুই কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের বীমার আওতায় রয়েছেন। অবশ্য বাংলাদেশে বীমা সম্পর্কে এখনো অনেকেই ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন না।তাই বীমাকে জনপ্রিয় করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লি: এর বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাধারণ জনগণই বীমাশিল্পের প্রাণ। তাই গ্রাহকের চাহিদা ও সন্তুষ্টিকে বিবেচনায় রেখে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।’জাতীয় বীমা দিবসের বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় অর্থনীতিতে বীমার গুরুত্ব এবং এর অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করে স্বাধীনতার পর বীমা শিল্পকে অধিকতর অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স (জাতীয়করণ) আদেশ-১৯৭২ জারি করে ৪৯টি দেশি-বিদেশি বীমা কোম্পানিকে জাতীয়করণের মাধ্যমে সুরমা, রূপসা, তিস্তা এবং কর্ণফুলি নামক ৪টি বীমা কর্পোরেশন গঠন করেছিলেন।
একই সঙ্গে এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জাতীয় বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন। পরবর্তীতে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে ‘ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন আইন-১৯৭৩’ প্রণয়ন করে এই ৪টি কর্পোরেশনকে ভেঙ্গে ‘জীবন বীমা কর্পোরেশন’ এবং ‘সাধারণ বীমা কর্পোরেশন’ নামে দু’টি পৃথক বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন।তিনি আরো বলেন, সরকার বীমার গুরুত্ব ও সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বীমা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতার দেখানো পথই আমরা অনুসরণ করছি।
২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। পুরাতন বীমা আইন-১৯৩৮কে রহিত করে সময়োপযোগী ‘বীমা আইন-২০১০’ এবং ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০’ প্রণয়ন করে বীমা অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হয়েছে। বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রবাসী কর্মী বীমা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলায় হাওড় এলাকায় সীমিত পরিসরে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা চালু করা হয়েছে।’