লিমন মিয়া, সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি :
পুষ্টিতে অনন্য, ভাতের পরই আমাদের দেশে যে খাদ্যটির চাহিদা বেশী সেটি হলো আটা ও ময়দা। আর এই আটা ও ময়দা আসে গম থেকে। তবে গম চাষে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। গম চাষে খরচের পরিমাণ বেশি। আবার বাজারে কম দামে বিক্রি হয়।এ কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কৃষকরাও।
এতে গম চাষে প্রতি মৌসুমে অনিহা প্রকাশ করে কৃষকরা।সরজমিনে ঘুরে ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মাটি আর বর্তমান আবহাওয়া উপযোগী না থাকায় এবং খরচের পরিমাণ বেশি হওয়াতে উপজেলার স্বল্প জমিতে গম চাষ হয়েছে। কৃষকরা মনে করেন গম চাষের চেয়ে অন্য ফসল চাষ করে তুলনামূলকভাবে অনেক লাভ হয়। সে জন্য গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করেন অনেক কৃষক।
চলতি মৌসুমে উপজেলার আওনা, পিংনা, কামরাবাদ, ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় স্বল্প পরিসরে গমের চাষ দেখা গিয়েছে। মৌসুমে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২শত হেক্টর। তবে চলতি মৌসুমে এবার ৪শত হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে।আওনা ইউনিয়নের স্থল গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গম চাষ করেছেন। ফসলের অবস্থা তেমন ভালো হয়নি। ঠিক মত পানি দেওয়া যায় না। তাছাড়া গম চাষ আবাদে খরচের পরিমাণ বেশি হয় বাজারে দাম কম হয়।
তাই অল্প জমিতে গম চাষ করেছে আর বাকী সব জমিতে ধান চাষ করেছেন।এদিকে কৃষক দোলন মিয়া, মিজানুর রহমান ও লিটন মিয়া বলেন, গম চাষে অনেক লোকসান হয়। প্রতি বিঘাতে চাষ করতে খরচ হয় ৫-৬হাজার টাকা। গম পাই ৭-৮মণ। বর্তমান বাজার মুল্য হিসেবে বিক্রি করি ৭হাজার থেকে ৮হাজার টাকা মণ। লাভ আর কি হবে আসলই উঠে না। তবুও বেচে থাকার তাগিদে চাষ করি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবার চলতি মৌসুমে ৪শত হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। ২০টি প্রদর্শনী প্লট আকারে ২০বিঘা জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে ও ছত্রাকবাহী ‘বøাস্ট’ রোগের মত কোন রোগে আক্রমণ না হলে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া গম চাষে খরচ বেশি হয় বাজার মুল্য কম থাকায় কৃষক গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। যদি বাজার মুল্য ঠিক থাকে তাহলে গম চাষে প্রতি কৃষকের আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন ।