
নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম,বাঁশখালী, ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) বিতরণ কার্যক্রমে উঠে এসেছে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ। বিতরণ কেন্দ্রে বসে স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে নামে-বেনামে আদায় করা হচ্ছে অর্থ। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, গত ৫ই মার্চ ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কালে অনিয়ম আর দুর্নীতি-ই যেনো এখানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি অনুযায়ী গত ৫ই মার্চ বাঁশখালী ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদরুদ্দীন।
সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের ভিডিও
কিন্তু বিতরণের সময় কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসী। ইউনিয়ন পরিষদ কর্মকর্তাদের পরিবর্তে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, সমাজের মুরব্বিদের দিয়েও চালানো হয়েছে স্মার্ট কার্ড বিতরণের কাজ। ফলে স্মার্ট কার্ডের বিনিময়ে টাকা লেনদেনের মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, মোহাম্মদ বাবু (২৪) বলেন, চেয়ারম্যান মোঃ বদরুদ্দীনের ঘনিষ্ঠজন মোঃ মুজাম্মেল মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের বাড়িতে স্মার্ট কার্ড দিতে আসেন, আমার কাছে স্মার্ট কার্ডের বিনিময়ে টাকা দাবি করলে আমি টাকা দিতে বাধ্য হই।আরেকজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন চেয়ারম্যান উদ্বোধনের পর আর খোঁজখবর নেননি।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের পাশাপাশি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করেছে বহিরাগত লোকজনদের দিয়ে। ভুক্তভোগীরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্মার্ট কার্ড না দিয়ে ফিরে যেতে চায়। পরে ভুক্তভোগীরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ দিয়ে নিজেদের স্মার্ট কার্ড বুঝে নেন। ” ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদরুদ্দীনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি প্রতিবেদকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরবর্তীতে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।