নিউজ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।গতকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত থেকে শনিবার (২৭ মার্চ) ভোর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ও চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল থেকে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও জামিয়া সিরাজুল উলুম মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে।বিকেল ৪টার দিকে মাদরাসাছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর রেলওয়ে ফাঁড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করে।এছাড়াও বিক্ষুব্ধ মাদরাসা ছাত্ররা শহরের পুনিয়াউট রেলগেট সংলগ্ন আনসার ও ভিডিভির জেলা কমন্ড্যান্টের অফিসে হামলা করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় অফিসের একটি গোডাউনসহ ছয়টি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করে। এতে অফিসের জরুরি কাগজ পত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি গ্যারেজে অগ্নিসংযোগ করে মাদরাসা ছাত্ররা। এতে গ্যারেজে থাকা তিনটি মাইক্রোবাস ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশের ২নং পুলিশ পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষুব্ধরা জেলা সিভিল সার্জনের অফিসেও হামলা করে। এ সময় সিভিল সার্জন অফিসের বারান্দায় থাকা হাসপাতালের মালামালে অগ্নিসংযোগ করে।এদিকে, এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় শনিবার বিকেল থেকে সকল প্রকার ট্রেন যাত্রাবিরতি স্থগিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার সোয়েব আহমেদ জানান, রেলস্টেশনে লাইনসহ যাবতীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন না হওয়ার আগ পর্যন্ত সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হবে।