
আগামী ১২ মে-র পর অন্তত ২ সপ্তাহের জন্য গোটা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার কথা ভাবছে কর্নাটক সরকার। টানা এক সপ্তাহ নৈশ কার্ফুর পরেও সংক্রমণের হারে লাগাম টানা সম্ভব না হওয়ায় কর্নাটক সরকার এ বার আরও বড় পদক্ষেপ করতে পারে।লকডাউন ঘোষণা করা হবে কি হবে না, তা নিয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক হয় রাজ্য মন্ত্রিসভার। তার পর মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভা আগামী ১২ মে ফের খতিয়ে দেখবে পরিস্থিতি। তার পরেই লকডাউন জারি হবে কি হবে না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ২ সপ্তাহের জন্য কর্নাটকে লকডাউন ঘোষণার কথা ভাবা হচ্ছে।কেন এক সপ্তাহের কার্ফু জারির পরেও সংক্রমণের হারে লাগাম টানা গেল না, তা নিয়েও মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ৩টি কারণের কথা উঠে এসেছে।
১. কার্ফুর সময়েও রাজ্যের সর্বত্র উৎপাদন ও নির্মাণ ও পোশাক তৈরির কারখানাগুলি খোলা ছিল।
২. সেই কারখানাগুলি চালানো হয় ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে। কর্মীসংখ্যা এর চেয়ে কমাতে পারেনি ওই কারখানাগুলি।
৩. কার্ফুর সময়েও বেঙ্গালুরু থেকে কর্নাটকের বিভিন্ন জেলায় ট্রাক ও যান চলাচল অব্যাহত ছিল।
সোমবারই বেঙ্গালুরু শহরে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার হার ৫৫ শতাংশ হয়। সোমবার বেঙ্গালুরুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। যা গত দেড় বছরের অতিমারিকালে একটি রেকর্ড।সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা চাইছেন, কর্নাটকে লকডাউন মে মাসের শেষ পর্যন্ত জারি থাকুক। তবে তাতে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের কতটা কী ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে মন্ত্রিসভা। ফলে ১২ মে-র পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।