
করোনায় দেশের উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫৬ জন। নমুনা পরীক্ষায় বাগেরহাটে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক এক শতাংশ। রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় বেসামাল হাসপাতালগুলো।দেশের রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে করোনা রোগী ও মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। কয়েকটি এলাকায় বিশেষ লকডাউন চললেও মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ।
এতে রোগীর বাড়তি চাপে হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।খুলনা: খুলনায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮ জন ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৬ জন খুলনার, ৩ জন যশোরের এবং বাগেরহাট ও নড়াইলের দুজন। ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫১ জন শনাক্ত হয়েছেন। হার ৪০ দশমিক এক পাঁচ শতাংশ। সংক্রমণ রোধে আজ থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের লকডাউন।খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
মৃত্যুও কমানো যাচ্ছে না। পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।যশোর: যশোরে মারা গেছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে ৬ জন করোনায় ও ৪ জন উপসর্গ নিয়ে। ২৪ ঘণ্টায় ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। হার ৪৮ শতাংশ। পাঁচ পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নে চলছে লকডাউন।সাতক্ষীরা: ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে ৮ জন মারা গেছেন। ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৬ জন শনাক্ত হয়েছেন করোনায়। হার ৪৬ শতাংশ।
৩৯২ জন করোনা ও উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদা বলেন, গত কয়েকদিন মৃত্যুই বেড়েই চলেছে। আক্রান্তও বাড়ছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা কমছে না।কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় মারা গেছেন ৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৯ জন শনাক্ত হয়েছে। হার প্রায় ৩৭ শতাংশ।বাগেরহাট: বাগেরহাটে মারা গেছেন ৩ জন। শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক এক শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় ১১২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৫৫ জন।
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে মারা গেছেন ১ জন। শনাক্তের হার ৪৭ দশমিক ছয় এক শতাংশ। সংক্রমণ রোধে সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে সাত দিনের লকডাউন।রাজশাহী: করোনা হটস্পট রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন করোনায় ও ৮ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন নাটোরের ও বাকিরা রাজশাহীর। ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১২৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। হার ৩৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তৃতীয় দফায় ৪৮টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে।এছাড়া বগুড়ায় ২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামে একজন করে মারা গেছেন।