
পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় একদিকে ফেরি চলাচলে সময় লাগছে বেশি, অন্যদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়াঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ির বাড়তি চাপ রয়েছে। এতে ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত গাড়ি। এমনকি কিছু গাড়িকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২৪-৩০ ঘণ্টারও বেশি সময়।রোববার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে সরজমিন দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়ামুখী লেনে দোগাছি থেকে শ্রীনগর ছনবাড়ির কাছাকাছি কয়েক কিলোমিটার সড়কজুড়ে শত শত গাড়ির সারি রয়েছে।
এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা এসব পরিবহনের চালক-শ্রমিকদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে লেনে পাস দিয়ে চলা অন্যান্য যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।বাগেরহাটগামী একটি ট্রাকের চালক খাইরুল হোসেন বলেন, ‘খাবারের কোনো দোকান নাই, টয়লেট নাই। রাস্তার ওপর কতক্ষণ থাকা যায় ভাই? কি করবো?- বুঝতে পারছি না।’আরেক চালক লোকমান মিয়া বলেন, ‘লোহার এঙ্গেল নিয়া ফরিদপুর যামু। ২৪ ঘণ্টার বেশি হইবো রাস্তায় দাঁড়াই আছি। যদি আমাদের ঘাটে নিয়াও রাখতো ওই জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট হইতো না।’আরেক চালক খোরশেদ বলেন, ‘ঘাটে ফেরিতে ছোট গাড়ি পার করতাছে, আমাগো পার করে না। নাওয়া নাই, দাওয়া নাই।
তার ওপর এতো গরম।’এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কয়েক শতাধিক গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষা রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির চাপ ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে গাড়িগুলোকে এক্সপ্রেসওয়েতে রাখা হয়েছে। তবে পচনশীল, শিশুখাদ্য ও জরুরি গাড়ি আটকানো হচ্ছে না। ঘাট থেকে আমাদের জানালে ২০-৩০টি করে গাড়ি সেখানে পাঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ট্রাকগুলোকে এখানে রাখা হয়েছে।
ফেরি চলাচলে বেশি সময় লাগায় গাড়ি পারাপারে দেরি হচ্ছে।বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের মেরিন কর্মকর্তা জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যেতে ফেরিগুলোর দ্বিগুণ সময় লাগছে। প্রতিটি ফেরিকে স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে ৩-৪ কিলোমিটার অধিক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। স্রোতের বিপরীতে চলাচলে সক্ষম না হওয়ায় তিনটি ফেরি চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া সচল ফেরির মধ্যে রয়েছে চারটি রোরো, ছয়টি মিডিয়াম ও চারটি ডাম্ব ফেরি।এদিকে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল থেকেও শিমুলিযা ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের ঢল রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপরে নৌরুটে ১৪টি ফেরি ও ৮৪টি লঞ্চ সচল রয়েছে।