গত ৩রা জুলাই অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমাদের সময় ডট কম এ. “হাটহাজারীতে দুই ভুয়া সাংবাদিক আটক”, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন ভার্সনে “সাংবাদিক সেজে গাড়ি নিয়ে ‘কেরানি’ যাচ্ছিলেন অন্যের জমিজমার ঝামেলা মেটাতে” শিরোনামে এবং অন্যান্য অনলাইন পোর্টালে বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমার মক্কেল পারভেজ চৌধুরী এবং সাংবাদিক মোসলেম উদ্দিন। আমার মক্কেল পারভেজ চৌধুরী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং মোসলেম উদ্দিন সংবাদকর্মী।
মূল বিষয় হলো পারভেজ চৌধুরী একটি ডকুমেন্টারি প্রতিবেদন করাতে অনলাইন এবি টিভির সাংবাদিক মোসলেম উদ্দিনকে সাথে নিয়ে তার ব্যক্তিগত গাড়ী করে ফটিকছড়ি যাচ্ছিলেন।গাড়ীতে যেহেতু একজন সাংবাদিক রয়েছেন এবং তিনি সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাচ্ছিলেন সেহেতু গাড়ীতে প্রেস স্টীকার সাঁটানো যৌক্তিক ছিল। তাই তারা এবি টিভির স্টীকার ব্যবহার করেছিলেন। গাড়ীতে ভিডিও ক্যামেরা এবং অন্যান্য নিউজ সরঞ্জামও ছিল। হাটহাজারী জিরো পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের সংকেত মেনে তারা গাড়ী থামালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাড়ীর সব ডকুমেন্টস এবং সাংবাদিক মোসলেম উদ্দিনের অফিসিয়াল পরিচয় পত্র দেখাতে বলেন।
সাংবাদিক মোসলেম উদ্দিনের সাথে পরিচয় পত্র না থাকায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে তার ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শন পূর্বক বার্তা সম্পাদকের সাথে টিএন্ডটিতে ফোনে আলাপ করিয়ে দেন। কিন্তু গাড়ীর ডকুমেন্টস পারভেজ চৌধুরীর নিজ নামে না হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত গাড়ীটি হাটহাজারী থানার হেফাজতে দেন এবং পরবর্তীতে উপযুক্ত প্রমাণাদি হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করে গাড়ী নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি অন্য যানবাহন ব্যবহার করে তাদেরকে গন্তব্যে যেতে বলেন। উল্লেখ্য, গাড়ীটি পারভেজ চৌধুরী বিগত ১ মাস পূর্বে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে খরিদ করেন। খরিদের পর থেকে লকডাউনের কারণে বিআরটিএ কার্যালয় বন্ধ থাকায় নাম পরিবর্তনের আবেদন করার সুযোগ হয়নি।
কিন্তু ঘটনাস্থলের কতিপয় অতি উৎসাহী সংবাদকর্মী তথ্য বিকৃত করে উক্ত ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে আমার মক্কেলদের মানহানি করেছেন, যা আইন পরিপন্থী। চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন ভার্সনে উল্লেখ করা হয়েছে, কেরানী সেজে জমি জমার ঝামেলা মেটাতে গাড়ী নিয়ে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা দুই ভুয়া সাংবাদিক। আমাদের সময় ডট কম এ উল্লেখ করা হয়েছে হাটহাজারীতে দুই ভুয়া সাংবাদিক আটক। এইসব তথ্য সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। কারণ জায়গা জমি সংক্রান্ত কাজে যাচ্ছিলেন বলে কেউ উল্লেখ করেন নি।
এছাড়া পারভেজ চৌধুরী নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়েছেন এবং তার ব্যবসায়ীক ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শন করেছেন সুতরাং তাকে ভুয়া সাংবাদিক বলে প্রচার করার কোন সুযোগ নেই। অপরদিকে সাথে না থাকায় সাংবাদিক মোসলেম উদ্দিনের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় পত্র দেখাতে না পারলেও ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শনের পাশাপাশি বার্তা সম্পাদকের সাথে কথা বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সন্তুষ্ট হয়েছেন। এক্ষেত্রে তাকেও ভুয়া সাংবাদিক বলে প্রচার করার কোন সুযোগ নেই। উক্ত পোর্টালগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে তাদেরকে আটক করে হাটহাজারী থানায় পাঠানো হয়েছে, কিন্তু বিষয়টি হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ অস্বীকার করেন। তাহলে এই তথ্যটিও মিথ্যা।
এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের উপর নির্ভর করে সংবাদ প্রচার করার কারণে আমার মক্কেলরা ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে চরম হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। তাই যেসব সংবাদ মাধ্যমে এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে সেসব সংবাদ মাধ্যমে উক্ত প্রকাশিত সংবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ পূর্বক প্রতিবাদ লিপি প্রচারের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় আমার মক্কেলরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবেন।
ধন্যবাদান্তে–
আব্দুল ওয়াহেদ হোছাইনী
এডভোকেট ৩০৫ নাম্বার রুম, আইনজীবী নতুন ভবন
জজ কোর্ট, চট্টগ্রাম।