বার্সেলোনার সাথে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি এখন শুধুই পিএসজির। প্যারিসের জায়ান্ট ক্লাবটির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনও এখন ক্ষুদে এই ফুটবল জাদুকর। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ক্লাবটির সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পর বুধবার (১১ আগস্ট) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেই একরাশ স্বপ্নের কথা শোনালেন মেসি।
তিন মৌসুম আগে ন্যু ক্যাম্পে থাকতেই ঘোষণা দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার। শেষমেশ সেটা আর সম্ভব হয়নি সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে যাওয়ায়।অন্যদিকে, পিএসজিও চ্যাম্পিয়ন লিগ জেতার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। ২০২০ সালে ফাইনাল, পরের বছর সেমিফাইনাল। কিন্তু শিরোপা জেতা হয়নি আর। সেই শিরোপা জিততে পিএসজি যে সম্ভাব্য সব কিছুই করতে প্রস্তুত তা বলাই বাহুল্য।

এখন মেসি চলে এসেছেন পিএসজিতে। দুজনের ইচ্ছেই মিলে যাচ্ছে এক বিন্দুতে। তাই প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রশ্ন চলে আসাটা খুবই স্বাভাবিক। সে প্রশ্নের উত্তরে মেসি বললেন, ‘আমি মনে করি আমি একটি সফল দলে এসেছি। এই দলকে আমি সাহায্য করতে পারি, আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে। আমার স্বপ্ন হলো আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতা।’নিজে সেই ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন। এরপর আবারও এই শিরোপা জেতার ইচ্ছেটা অনেকদিন ধরেই বলে চলেছিলেন লিওনেল মেসি।
এবার দেখা যাক পিএসজির হয়ে সেটা পূরণ করতে পারেন কিনা।এদিকে, পিএসজিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কোচ পচেত্তিনোর ভূমিকারও ব্যাখ্যা করেছেন মেসি, ‘যখনই দেখলাম যে এখানে আসার একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, তখনই আমি পচেত্তিনোকে ফোন করলাম। আমরা দুজনই আর্জেন্টিনার, তাই ব্যাপারটা আরও সহজ হয়েছে আমার জন্য। পিএসজির কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে সাহায্য করেছেন আমাদের।’এছাড়া প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেই সতীর্থ নেইমারের প্রসঙ্গও তুলেছেন মেসি। বলেন, ‘আমি নেইমারকে অনেক আগে থেকেই চিনি। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা অনেক বছর আলাদা ছিলাম, কিন্তু আমার মনে হয় আমরা একসঙ্গে খেললেই ভালো হয় ব্যাপারটা। আমার পিএসজিতে আসার পেছনে নেইমারও অন্যতম এক কারণ।
অন্যান্য সতীর্থদের সঙ্গে খেলতেও তর সইছে না আমার।’ক্রীড়াঙ্গনে আলোচিত কিংবা বড় তারকাদের প্রভাব কতটুকু তা বোঝার অনেক উপায় হয়তো আছে। তবে অবস্থান পরিবর্তন করলে বোধহয় তাদের প্রভাব সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ফল মিলে। লিওনেল মেসি পিএসজিতে যাওয়ার পরও সেটি ঘটছে। এক প্রকার দৌড়ে দৌড়ে অনুসারীর সংখ্যা বাড়ছে পিএসজির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।বুধবার (১১ আগস্ট) দেখা যায়, প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫০ জন করে ফলোয়ার বাড়ছে পিএসজির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের ক্ষেত্রে ফলোয়ার বৃদ্ধির এই সংখ্যাটা অবশ্য আরও কম। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই না, মেসি ফরাসি ক্লাবে যাওয়ায় বাস্তব জীবনেও এখন অনেকে বার্সার পরিবর্তে নিজেকে পিএসজি সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।