
কুড়িগ্রামে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ-ভাঙচুর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রাম সদরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে উভয়পক্ষের সাতজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক। ২৮ নভেম্বর এ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।নৌকার প্রার্থী রেদওয়ানুলের ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম রতন বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাঁঠালবাড়ী বাজার সংলগ্ন এলাকায় উভয়পক্ষের কর্মীরা ভোটারদের কাছে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
এ সময় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী আমাদের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। আমাদের কর্মীরাও তাদের জবাব দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ঘোড়া প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রচার বুথের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
রতন আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি নিজে এগিয়ে গিয়ে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাকে উপেক্ষা করে আমাদের প্রচার বুথ ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে আমাদের কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হয়। পরে আমি নিজে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হক বলেন, আমার কর্মীদের প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে নৌকার সমর্থকরা। প্রতিনিয়ত আমার কর্মীদের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি হামলা চালানো হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার ব্যানার টানাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং কিছু এলাকায় পোস্টার লাগাতে দেওয়াও হচ্ছে না।তিনি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায় নৌকার প্রার্থীরা। আমার এক কর্মীর দোকানে হামলা চালানো হয়। আমার প্রচার সামগ্রীসহ বাড়ির বেড়া ভাঙচুর করা হয়। মা-বোনদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি ও আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ওসি আরও বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। নতুন করে যেন কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত না ঘটে। এজন্য আমরা তৎপর আছি এবং ওই নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।