
শনাক্ত সাড়ে ৯ হাজার’হার বেড়ে ২৫ ছাড়াল দেশে প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯ হাজার ৫০০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৪০৭ জন। এক দিনের ব্যবধানে নতুন রোগী বেড়েছে ১ হাজার ০৯৩ জন। একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ১২ আগাস্ট, সেদিন ১০ হাজার ১২৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
এছাড়া ৫ মাস পর নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে আজ থেকে। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। যা গত বছরের যা ১৩ অগাস্টের পর সর্বোচ্চ। সেদিন শানাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরো ১২ জনের। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি হলো ২৮ হাজার ১৭৬ জনের। বুধবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮৫৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৮৩০ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ জনের। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে। এসময় সুস্থ হয়েছেন আরো ৪৭৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন।ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে দেশে দুই সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।এরই ধারাবাহিকতায় সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। গণপরিবহনেও অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বাড়ছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল।
তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।গত বছরের ১১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর আসে।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ।
শনাক্ত সাড়ে ৯ হাজার’হার বেড়ে ২৫ ছাড়াল ২০২১ সালের ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়।করোনার ভারতীয় ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।গত বছর জুলাই-আগস্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পায়। ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।