রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে লিখিত মতামত চাইবে সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম ও লিখিত মতামত নেবে অনুসন্ধান কমিটি। রোববার রাতে কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সার্চ কমিঠির বৈঠক শেষে অনুসন্ধান কমিটিকে সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, নির্বাচন কমিশন গঠনে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সার্চ কমিটির বৈঠক শনি ও রোববার বৈঠক করবেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করা হবে। সার্চ কমিটির পরবর্তী বৈঠক মঙ্গলবার বলেও জানান তিনি।আজকে মূলত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বসা হয়েছিল বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। নতুন আইন অনুযায়ী ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শনিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠন করে দেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে জন্য গতকালই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক সদস্য হিসেবে আছেন।
ইসি গঠনে নতুন আইন অনুযায়ী, অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করতে হবে অনুসন্ধান কমিটিকে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অনুসন্ধান কমিটি চাইলে ১৫ কার্যদিবসের আগেও ইসি গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করতে পারবে। অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য ২ জন করে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে।
এ ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসিসহ পাঁচজনকে দিয়ে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো আইনানুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। এ জন্য কিছুদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সম্মতির পর গত রোববার বিলটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।