
অপহরণের ৬ দিন পর উদ্ধার চন্দনাইশের ঠিকাদার মোজাম্মেল চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ হাশিমপুর নাসির মোহাম্মদ পাড়া এলাকার মোজাম্মেল হক তালুকদার (৪৫) কে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা অপহরণের ৬ দিন পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। গত ১৪ মার্চ সোমবার রাত ১১ টায় ধোপছড়ি শীলঘাটা এলাকায় স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
অপহৃত মোজাম্মেল হক বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় ৬ টায় আমাকে পাহাড়ের কোন এক স্থান হতে পায়ে হাঁটায় ধোপাছড়ী শীলঘাটা এলাকার একটি সেগুন বাগিচায় এনে ছেড়ে দেয়। তখন সন্ত্রাসীরা আমাকে বলে যে ৩০ মিনিট হাটলে মেম্বারের বাড়ী, তুমি ওখানে গেলে মানুষ তোমাকে দেখবে। স্থানীয় মেম্বারর সাথে দেখা হলে মেম্বার মোজাম্মেলকে আরো স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি আরো বলেন, সোমবার সকালে আমার স্ত্রী, ও ছেলে পাহাড়ের একটি স্থানে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসেন। মোজাম্মেল হক আরও বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের স্থানীয় কয়েকজনের যোগসাজশে তাকে অপহরণে সহযোগিতা করে। উল্লেখ্য যে, গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন সন্ধ্যার পরপর ২৫/৩০ জনের একটি স্বশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী এসে মোজাম্মেলকে তুলে নিয়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলার হাশিমপুরের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে মোজাম্মেল হক তালুকদার গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার। বরুমতি খালের ভাঙ্গন প্রতিরোধে হাশিমপুর নাসির মোহাম্মদ পাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের কাজ চলছিল। মোজাম্মেল সে প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি স্কেভেটর ভাড়া দিয়ে লেবারদের নিয়ে কাজ করছিলেন।
অপহরণের ৬ দিন পর উদ্ধার চন্দনাইশের ঠিকাদার মোজাম্মেল মোজাম্মেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ২০ ঘন্টা পর ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করেন সন্ত্রাসীরা।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেন, চন্দনাইশ থানা পুলিশ ও র্যাবের সুকৌশলী চাপের মূখে তারা মোজাম্মেলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিবারের পক্ষ হতে খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানা ও ধোপাছড়ি তদন্ত কেন্দ্র যৌথভাবে রেখে যাওয়া স্থান থেকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সে মোটামোটি সুস্থ আছে।