
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্তমান সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীর বিকল্প সভাপতি হওয়ার মত যোগ্যতা সম্পন্ন পরিচ্ছন্ন ইমেজের তেমন কারো নাম আলোচনায় এখনো পর্যন্ত না আসলেও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রায় ৪০ জন বায়োডাটা জমা দিয়েছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে।সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য অনেক আলোচিত সমালোচিতরাও পদের জন্য লবিং চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামী ২০ ও ২৭ মে এর মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগরসহ তিন সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন করতে গত ৫ মার্চ পর্যন্ত মোট বায়ো ডাটা জমা পড়েছে ১৭৭টি। সভাপতি পদে বর্তমান জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রার্থ সারথী চৌধুরী, সহ সভাপতি দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুক, শফিউ আজম শেফু, আকতার হোসেন, এম এ রহিম, নাসির উদ্দীন মিন্টু, মাঈনুদ্দিন চৌধুরী।
এরমধ্যে বর্তমান সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীর সাথে আলোচনায় রয়েছে সভাপতি পদে বর্তমান জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রার্থ সারথী চৌধুরী, সহ সভাপতি দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ ফারুক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সাধারণ সম্পদাক এম এ রহিম।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সোলাইমান তালুকদার, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহি উদ্দীন মহি, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক রাজু দাশ হিরো, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দীয় কমিটির সদস্য আবদুল হান্নান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, যুবলীগ নেতা মাহবুবুল আলমসহ অনেকে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা দিলেও আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা সংসদীয় আসনের এমপি ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে প্রত্যাহার করে নেন। তৃণমূল নেতা কর্মীদের দাবি দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে তৃণমূল নেতা কর্মীদের গোপন ভোটাভোটি হলে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসলে বর্তমান সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীর পক্ষে শতকরা ৯০% ভোট পড়বে।
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও এবং দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন ৩০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসলেও তার বিরুদ্ধে এ যাবত কোন একজন ব্যক্তিও কোন অভিযোগ দাড় করাতে পারেনি। পরিচ্ছন্নভাবে রাজনীতি করতে গিয়ে বাপ দাদার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে যুবলীগের পেছনে ব্যায় করেছে বলে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের একাধিকজন নেতা জানান।
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীও সম্মেলনে তৃণমূল নেতা কর্মীদের গোপন ভোটাভোটির মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হলে টিপু সুলতান চৌধুরীর বিকল্প নেই। টিপু সুলতান চৌধুরীও তৃণমূলের মতামত ছাড়া সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হলে সভাপতি পদে প্রার্থী হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মহিউদ্দীন মহি বলেন, আমরা দক্ষিণ জেলায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেছি, দক্ষিণ জেলার প্রতিটি এলাকায় আমার কর্মী সমর্থক রয়েছে, যুবলীগের দায়িত্ব পেলে একটি মডেল সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হান্নান লিটন বলেন, আমি দক্ষিণ জেলায় দায়িত্বে না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি দায়িত্ব পেলে যুবলীগকে এগিয়ে নিতে পারব।
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আরেক সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী রাজু দাশ হিরো বলেন, দক্ষিণ জেলার বর্তমান কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযোগ নেই। তারা যুবলীগের পেছনে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ করে আসছে। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হলে তৃণমূল নেতা কর্মীরা কে সভাপতি আর কে সাধারণ সম্পাদক হবে তা নির্ধারণ করে নিবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্তমান সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী বলেন, যুবলীগের সভাপতি হিসেবে প্রায় ১৩ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছি, যতটুকু সম্ভব সংগঠনের জন্য সততা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। গোপন ভোটাভোটির মাধ্যমে দক্ষিণ জেলায় নতুন নেতৃত্বে আসলে কর্মীরা উপকৃত হবে। না হয় সংগঠনের পরীক্ষিত কর্মীদের মতামতের মূল্যায়ন হবে না, সম্মেলন না হলে আমি নিজেও প্রার্থী হব না।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সারা দেশে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেয়ার চিন্ত ভাবনা রয়েছে। তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে যারা জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব নেতা, তাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।