মাইকিং করে ৩০০-টাকায় ইলিশ-বিক্রি আজ মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে খুলনার বাজারে মাইকিং করে ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। খুলনার টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, রিয়া বাজার, রূপসার পাইকারি মৎস্য বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারগুলোতে ইলিশে ভরে গেছে। আগের দিনও যারা অন্য মাছ বিক্রি করেছিলেন আজ তারাও ইলিশ এনেছেন।
মাইকিং করে ৩০০-টাকায় ইলিশ-বিক্রি দামও সাধারণের নাগালে চলে এসেছে। ফলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইলিশ কিনতে আসছেন আনেকে।এদিকে ইলিশের চাপে অন্য মাছের দামও কমতে শুরু করেছে। ফলে সবজির পর মাছ বাজারেও স্বস্তি ফিরেছে। মাছ কিনতে আসা স ম আলাউদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, রোজিনা পারভিন বলেন, বাজারে প্রচুর ইলিশ এলেও সাইজে একটু ছোট। তবুও ইলিশ মাছ বলে কথা। দামও কিছুটা কমেছে।
এ সময় টুটপাড়া জোরাকল বাজারের মাছ বিক্রেতা নান্টু, মালেক, রমজান আলী বলেন, বর্তমানে গোন (পূর্ণিমার জোয়ার) চলছে। এ সময় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। ফলে বাজারে ইলিশ মাছের আমদানি বেড়েছে।তারা আরও বলেন, এক সপ্তাহ আগেও যে মাছ ছয় থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়।
এ দামে বিক্রি হওয়া মাছ এক কেজিতে দুটি বা তিনটি পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে কিছুটা ছোট ইলিশ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এ সময় রূপসা মৎস্য বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গত দুদিন বাজারে প্রচুর মাছ আসছে। একইসঙ্গে দামও কমে গেছে। তবে খুলনার ৫ নম্বর ঘাটের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আল মাসুদ বলেন, তুলনামূলক মাছ কম আসছে। দু-এক দিনের মধ্যে সাগরের ইলিশও চলে আসবে।