সিলেটে ৩১ অক্টোবর থেকে পরিবহন ধর্মঘট পাথর উত্তোলনের নামে বিরাণভূমি সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে কোয়ারিগুলোর পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন; কিন্তু এতে ‘আতে ঘা’ পাথর রাজ্যের লর্ডদের। তারা গরিব শ্রমজীবীদের উস্কানি দিয়ে মাঠে রাখার পাশাপাশি চালাচ্ছেন নানামুখী তৎপরতা। এরই ধারাবাহিকতায় নাখোশ, ক্ষুব্ধ পরিবহণ নেতারা! তারা পাথর উত্তোলনের দাবিতে ডেকে বসেছেন ধর্মঘট।
সিলেটে ৩১ অক্টোবর থেকে পরিবহন ধর্মঘট দিয়েছেন কঠোর আন্দোলনের হুমকি। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে পাথর উত্তোলনের সুযোগ না দিলেই ৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট শুরু করবেন। এতেও কাজ না হলে পুরো বিভাগে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি শুরুর হুমকি তাদের। এমনি হুমকি দিয়ে আন্দোলনে নামছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল দাবি করছেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারীগুলো থেকে স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহণ মালিক-শ্রমিক এ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহণ খাত বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন। গত ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহণে ভাটা পড়েছে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়েছেন চরম আর্থিক সংকটে।