‘আমার নিজেরই ৪টা দোকান ছিল। দোকনগুলোতে ছিল ২০ জন কর্মচারী। ঈদের ১০ দিন আগে সব মালামাল তুলছিলাম। এখন যা বের করতেছি হয় পোড়া, নাইলে আধ পোড়া। এক ধাক্কায় আমার ৫০ লাখ টাকার মালামাল শেষ। যা ছিল কিচ্ছু নাই’ সময় সংবাদকে বুকফাটা আর্তনাদে এ কথাগুলো বলেছেন নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সাইদুল।
আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের বাম দিকে। এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে সেদিক দিয়ে। ধোঁয়ার কারণে ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অক্সিজেন মাস্ক করে প্রবেশ করতে হচ্ছে। অনেক ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধারকর্মী আগুনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিউ সুপার মার্কেটের বাম কাউন্টারে কম করে হলেও ৫ কোটি টাকার মালামাল ছিল। যার সবটাই আগুনে পুড়ে গেছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঈদের আগে নিউমার্কেট এলাকার ওভারব্রিজ ভাঙার কাজ ধরায় সেখানের ড্রিল মেশিন থেকে সৃষ্ট আগুনের ফুলকি থেকে এ আগুন লেগেছে।
অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, ক’দিন আগে বঙ্গবাজারে আগুন লাগলো। ওই রেশ যেতে না যেতেই আবার নিউ সুপার মার্কেটে। বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন কীভাবে ইচ্ছা করে আগুন লাগানো হয়েছে। নিউ মার্কেটেও একই ঘটনা ঘটেছে। নাহলে ঈদের আগে কেনইবা ব্রিজ ভাঙা শুরু হবে আর কেনইবা আগুন লাগবে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ৪ ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার ফাইটাররা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা দিচ্ছে র্যাব। অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ধোয়ায় অসুস্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যসহ ২২ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।